ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ, পাথর নিক্ষেপে আহত ২০
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪৩
‘জেলা জেলা ভৈরব জেলা’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর কিশোরগঞ্জ নো মোর’, ‘ইন্টারিম সরকার, জেলা আমাদের দরকার’ এমন স্লোগানে সকালে উত্তাল হয় ভৈরব রেলস্টেশন এলাকা। ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে প্রায় সাড়ে এক ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনকে।
সোমবার সকাল ১০টা ৩০ থেকে ১১টা ৪০ পর্যন্ত অবরোধ চলাকালে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও রেলওয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা হলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপ করে। এতে ট্রেনে থাকা যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।
অবরোধের কারণে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস দীর্ঘক্ষণ ভৈরব স্টেশনে আটকে থাকে। এছাড়া ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেন দৌলতকান্দি স্টেশনে তিতাস মেথিকান্দা, কর্ণফুলী খানাবাড়ি চট্টলা তালশহর স্টেশনে আটকে যায় এসময় যাত্রীদের মাঝে চরম হতাশা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
গত ১১ অক্টোবর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিশোরগঞ্জ জেলা ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ভৈরবজুড়ে। এরপর থেকেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
এতে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রশিবির, গণ অধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংহতি জানিয়ে আসছেন।
রেলপথ অবরোধে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম, সভাপতি, ভৈরব উপজেলা বিএনপি মো. আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শাহিন, সভাপতি, পৌর বিএনপি ছাত্রনেতা জাহিদুল, মাওলানা শাহরিয়ারসহ অনেকে বক্তারা ঘোষণা করেন“ সরকার দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথ বন্ধ থাকবে।”
আগামীকাল নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাথর নিক্ষেপে ‘মহলের হাত’ অভিযোগ ছাত্রনেতা শাহরিয়ার দাবি করেন “আমাদের আন্দোলন ভাঙতে একটি মহল পাথর ছোড়ে।”
রেলওয়ে থানার ওসি সাইদ আহমেদ বলেন “দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
রেলস্টেশন মাস্টার ইউসুফ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে রেললাইন থেকে পাথর তুলে ট্রেনে ছোড়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র নিন্দার ঝড় তুলেছে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।