তিস্তা নদী রক্ষায় তরুণদের ফ্ল্যাশমব ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
আহসান সাকিব হাসান | প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:১২
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তরুণদের সংগঠন ‘জেন-জি লালমনিরহাট’ আয়োজন করেছে এক ব্যতিক্রমী মানববন্ধন ও ফ্ল্যাশমব কর্মসূচি।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচির মূল স্লোগান ছিল “জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই”। তরুণদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে ফ্ল্যাশমবটি নাচ, অভিনয় ও প্রতীকী প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রাণ পায়। এতে তারা তিস্তা নদীর সংকট, জীবিকা হারানোর আশঙ্কা এবং নদী রক্ষার প্রয়োজনীয়তা দৃশ্যমানভাবে তুলে ধরে।
এই আয়োজনে লালমনিরহাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “তিস্তা শুধু একটি নদী নয়— এটি উত্তরবঙ্গের জীবন, কৃষি, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের প্রতীক। নদী বাঁচানো মানেই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা।”
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন জেন-জি লালমনিরহাটের আহ্বায়ক শহিদ ইসলাম সুজন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব হামীদুর রহমান,
জেন-জি লালমনিরহাটের সদস্য সচিব আয়শা সিদ্দিকা কথা,
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মৃদুল হাবীব,
যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ আহমেদ রোকন,
সদস্য কামরুজ্জামান সুমন।
ফ্ল্যাশমব পরিচালনা করেন ঝংকার যুব সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিব সুন্দর বর্মন, এবং সঞ্চালনা করেন জেন-জি লালমনিরহাটের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান শাকিল।
সভাপতির বক্তব্যে শহিদ ইসলাম সুজন বলেন—
“তিস্তা নদী আমাদের জীবনের অংশ, আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির শিকড়। একসময় এই নদী ছিল কৃষির উৎস, ছিল অর্থনীতির চালিকা শক্তি। কিন্তু আজ সেই তিস্তা হয়ে উঠেছে অভাব-অনটন ও দুর্ভোগের প্রতীক। নদীভাঙন ও বন্যায় হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, হারিয়েছে জীবিকা ও আশ্রয়।
বিগত সরকারগুলো বিলাসবহুল প্রকল্পে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও রংপুর অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা তরুণ প্রজন্ম এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছি।
আমাদের দাবি, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। আমরা তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও এই আন্দোলনের অংশ থাকব। তিস্তা শুধু নদী নয়— এটি আমাদের জীবনের প্রতীক।”
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।