পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত তিন বাংলাদেশি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে তিন থেকে চারটি ছররা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহতরা গোপনে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালেও বিএসএফ বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি, পরবর্তীতে সময় জানাবে বলে জানিয়েছে।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর একই ইউনিয়নের সীমান্তে তিনটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে বিএসএফ। মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় আবারও গুলির ঘটনায় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বিপরীতে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার পকেটপাড়া গ্রাম। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৪ নম্বরের উপপিলার ৩-এর শূন্যরেখায় ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দল সকাল ৬টার দিকে তিন থেকে চারটি ছররা গুলি ছোড়ে।

অভিযোগ রয়েছে, এতে বাংলাদেশি তিনজন গরু পারাপারকারী আহত হন। তবে বিজিবি এ দাবি অস্বীকার করেছে। স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে আহতরা প্রায়ই গোপনে চিকিৎসা নেন, ফলে তাঁদের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না।

শ্রীরামপুর ইউনিয়নের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দা বলেন,

“নামাজ পড়ে ফেরার পথে দেখি মোটরসাইকেলে করে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে যাচ্ছে।”

ঘটনা জানার পর রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শ্রীরামপুর ক্যাম্প ও শমসেরনগর কোম্পানি সদরের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। বেলা ১২টার দিকে বিএসএফের রতনপুর ক্যাম্প কমান্ডারকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়।

রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন বলেন,

“গুলি ছোড়ার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তে যাই। পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি, বিএসএফ জানায় পরবর্তীতে সময় দেওয়া হবে।”