রাঙ্গাবালীতে ঘরে মিলল স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ, পাওয়া গেছে চিরকুট
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টঃ | প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:০৮
রাঙ্গাবালীতে নিজ বসতঘরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ ও পরিবারের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে। তবে কী কারণে তারা এমন পথ বেছে নিলেন-তা এখনও পরিষ্কার হয়নি।উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর সকাল ৯ টার দিকে বসতঘর থেকে রাকিব প্যাদা (৩০) ও তার স্ত্রী সোহাগী বেগমের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ।
এই সময় নিহত দম্পতির ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়। ওই ডায়েরির দুইটি পাতায় স্বামী-স্ত্রীর স্বাক্ষরিত চিরকুট পাওয়া গেছে। ওই চিরকুটে লেখা ‘মানসম্মান সব গেছে। বাঁচ্ছা (বেঁচে) থাইকা কি হবে?’-এই বাক্যটি ঘিরেই রহস্য তৈরি হয়েছে।
চিরকুটে লেখা ছিল-'সোহাগীসহ ইচ্ছা মৃত্যু বরণ করবো। আমাদের লাশ যেন পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) না করে। আমাদের কবর যেন ঘরের পশ্চিম পাশে দুইজনের লাশ একসাথে দেয়া হয়। আমি নিরপরাধী। মানসম্মান সব গেছে। বেঁচে থাইকা কি হবে। নিজের জীবন নিজে দিছি। আমার পোলার (ছেলের) দিকে খেয়াল রাখবেন সবাই। আমার পোলা মা-বাবা ছাড়া এতিম। আমাদের দু’জনকে সবাই মাফ করে দিয়েন। বার বছর বিয়ে হয়েছে। এরকম খারাপ এখন কেন।’
এলাকাবাসীর দাবি, তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য বের হয়ে আসুক।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী এক আত্মীয় ঘরে ঢুকে দম্পতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং চিৎকার করলে স্বজনরা এসে লাশ নামিয়ে ফেলেন। জানা গেছে, রাকিব-সোহাগী দম্পতির সাত বছর বয়সী মুজাহিদ নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার জানান, চিরকুটসহ সব আলামত জব্দ করা হয়েছে। দুইজনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।