রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ–২০২৫’ অনুষ্ঠিত

শাহ মখদুম বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা মহড়া ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ–২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিমানবন্দরের এপ্রোন এলাকায় আয়োজিত মহড়ায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

চেয়ারম্যান মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, এই ধরনের মহড়া দুর্বলতা শনাক্ত, আন্তঃসংস্থার সমন্বয় বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি আরও জানান, সমন্বিত দক্ষতা থাকলে যেকোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি দ্রুত ও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।

ঢাকার বিমানবন্দরে গত ১৮ অক্টোবর ঘটেছে অগ্নিকাণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, এভসেক, বিমানবাহিনী টাস্কফোর্স, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এপিবিএন, পুলিশ ও আনসারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তখন চুরি, লুট বা নাশকতার ঝুঁকি থাকলেও নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্বের কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।

মহড়ার দৃশ্যপটে দেখানো হয়, একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি কিভাবে প্রতিরোধ করা হচ্ছে। মহড়ায় অংশ নেয়— বেবিচক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‍্যাব, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, ইসলামী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য সংস্থা।

অনুষ্ঠানের অন-সিন কমান্ডার ছিলেন বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মোসা. দিলারা পারভীন, এবং চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমডোর মো. আসিফ ইকবাল। উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মোসা. দিলারা পারভীন জানান, রাজশাহীর একমাত্র বিমানবন্দর থেকে বর্তমানে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস ও বাংলাদেশ বিমান তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী হুমকি, হাইজ্যাক, বোমা হামলা ও অন্যান্য ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রস্তুতি বাড়াতেই এই মহড়া আয়োজন করা হয়েছে।

এনএফ৭১/ওতু