বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

৮ কুকুরছানা হত্যায় মামলা প্রস্তুতি, সরকারি বাসভবন ছাড়লেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা

পাবনা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০

ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মা কুকুর। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুরে ফেলে আটটি কুকুরছানাকে হত্যার অভিযোগে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে সরকারি বাসভবন ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ দপ্তর এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নয়নকে সরকারি বাসভবন ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। পরদিন মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পরিবারসহ বাসভবন খালি করে ভাড়া বাসায় চলে যান তিনি।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন,
“নোটিশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার তিনি বাসা খুঁজে মালামালসহ সরকারি বাসভবন ছেড়ে গেছেন।”

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন জানান,  “কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

ঈশ্বরদী থানার ওসি আ. স. ম আব্দুন নুর বলেন, “এজাহার লিখনের কাজ চলছে। পাওয়া মাত্রই মামলা রুজু করা হবে।”

ইউএনও বাসভবনের এক কোণে দীর্ঘদিন ধরে থাকত বিশ্বস্ত মা কুকুর টম। মানুষজন তাকে ভালোবাসায় ‘টম’ নাম দিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগে সে আটটি বাচ্চা প্রসব করে।

সোমবার সকাল থেকে ছানাগুলো না পেয়ে পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে দেখা যায় মা কুকুরটিকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন ও তার স্ত্রী ছানাগুলোকে বস্তায় ভরে রোববার রাতের কোনো এক সময় পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় ছানাগুলোর মরদেহ। পরে সেগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে হাসানুর রহমান নয়ন বলেন, “দরজার সামনে ডাকাডাকি করায় আমার স্ত্রী বিরক্ত হয়ে বাসার কাজের মহিলাকে দিয়ে কুকুরছানাগুলোকে বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।”

মঙ্গলবার দুপুরে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে বারবার ঘুরতে দেখা যায় টমকে। সরানোর চেষ্টা করেও তাকে সরানো যায়নি। সারাদিনই কুকুরটিকে উপজেলা চত্বরে তার ছানাদের খুঁজে বেড়াতে দেখা গেছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top