চুয়াডাঙ্গায় কুলের ফলন ভালো হলেও দাম পাচ্ছেন না চাষিরা
দামুড়হুদা থেকে | প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ২১:৩০
চুয়াডাঙ্গা সদর সহ সহ চার উপজেলার কুল চাষিদের কুলের ফলন ভালো হলেও কুলের দাম না পাওয়ার জন্য রয়েছে হতাশায়। স্থানীয়দের নিকট এ কুল কাশ্মীরি আপেল কুল হিসেবে পরিচিত।
এ কুলের গাছ প্রায় ছয় ফুট উচ্চতা হয়ে থাকেন।প্রতিটি ডালের থোকায় থোকায় ধরে আছে লাল বর্নের সুমিষ্ট স্বাদের বাহারি কুল।একেবারে পরিপক্ব কুলগুলো দেখতে প্রায় লাল আপেলের মতো, স্বাদেও মিষ্টি। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের আক্তার মন্ডল হাউলি গ্রামের মাঠে ২ বিঘা জমিতে দ্বিতীয় বারেরমতো আপেল কুল বাগানের চাষ করেছেন। এ বছরে ফলনও ভালো হয়েছে তবে দাম সীমিত।
শনিবারে সরেজমিনে গিয়ে বাগানে ডুকতেই দেখা গেছে,সর্বচ্চ প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার একেকটি গাছ।অসংখ্য কুল ধরে রয়েছে গাছে গাছে। ডালে ফলের ভারে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে,গাছে পাতার চেয়ে কুলের পরিমাণ অনেক বেশি। তবে ফলন বেশি হলেও দাম না পাওয়ার হতাশায় রয়েছেন কুল চাষি আক্তার সহ অনেকে। গাছ থেকে আপেল রঙের পাকা কুল ১/৫ কেজি খুচরা ৩০ টাকা দরে কিনছেন বেশ ক'একজন।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার কুল চাষি আক্তার বেশ ক' একজন কুল চাষি বলেন, গত বছরে চুয়াডাঙ্গার হাউলি রমজানের নার্সারি থেকে ২৬০ টি কুল গাছের চারা কিনে আনেন।তখন প্রথম পর্যায়ে ওই গাছে কেঁচো সার ব্যবহার করে কুল গাছ বড় হওয়ার পর ছড়ানো ডাল ঠিক রাখার জন্য বাঁশের খুঁটি ক্রয় করি।নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছগুলোতে ফুল আসে। এসব কুল প্রথমে সবুজ হয়ে থাকে। পরে সেটি আপেলের মতো লাল রং ধারণ করে। জানুয়ারি - ফেরুয়ারী মাসের শেষের দিকে ফল পরিপক্ব হয়। এরপর গতবছরে কুল বিক্রি শুরু করি, সে বছরে ৫০-৬০ টাকা দরে কুল বিক্রি করে খরচ বাদে ৫১ হাজার টাকার মতো লাভ করতে পারি। এ বছরে আমার কুল বাগানে ১০-১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গতকাল শনিবার গাছ থেকে কুল প্রথম বারের মতো বিক্রয় করার জন্য ৪৫ মন কুল ভাঙ্গা পড়ে সেখানে আমার শ্রমিক খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকার মতো।আমি কুলগুলো নিয়ে ট্রাকে করে ফরিদপুর বাজারে বেচাকেনার জন্য গেলে সেখানে বাজার দর কম খাকার কারণে কুলগুলো বিক্রয় না করে আড়ৎদারিব কাছে নামিয়ে রেখে চলে আসি।কুল বিক্রয় না করতে পারলেও গাড়ি ভাড়া বাবদ আমার আরো ৩ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়।এদিকে কুলের তেমন কোন চাহিদা নেই।কুল বিক্রি করে ঘরে তুলতে পারি নি কুল বিক্রির টাকা।
সচেতন মহল বলছেন - কুলের ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এ জাতের কুল বেশ মিষ্টি আর খেতে খুবই সুস্বাদু।বাজারে কুলের দাম কম হওয়ার জন্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যেমন কুল চাষিরা বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য কুল ভাঙ্গার সময়ের আগেই কুল বাজারে নেন বিক্রয় করার জন্য। এতে কুলের আসল স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য বাজারের দাম পড়তে পারেন।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
বিষয়: চুয়াডাঙ্গা কুল চাষি দামুড়হুদা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।