ভোলায় ২০ হাজার দরিদ্র পরিবারের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান
ভোলা থেকে | প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২১, ২৩:৫৩
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে তার ১০১তম জন্ম বার্ষিকীতে ভোলার গ্রামাঞ্চলের গরীব ও হতদরিদ্র পরিবারের ২০ হাজার সদস্যকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী চিকিৎসা ও ওষুধ দেন ডা. আবদুল মজিদ শাকিল। তাকে সহযোগিতা করেছেন আরও কয়েকজন চিকিৎসক।
ডা. আবদুল মজিদ শাকিল ৩৯তম বিসিএস ক্যাডার। বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে নবজাতক ও শিশু চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি জানান, তার বাবা মো. ফরিদ উদ্দিন বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি ডাক্তার হয়েছেন। গরীব ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে সব সময়ই রয়েছেন তিনি।
এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ভক্ত। তাই আজ তার জন্ম বার্ষিকীতে গরীব ও হতদরিদ্র পরিবারের ২০ হাজার সদস্যকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়েছি। আমি যেহেতু নবজাতক ও শিশু চিকিৎসক তাই শিশুদের পাশাপাশি নারী পুরুষসহ সব বয়সীদের সব ধরনের চিকিৎসার জন্য সহকারী সার্জন, চক্ষু চিকিৎসক ডা. সুব্রত কুমার হাওলাদার, জেনারেল সার্জারি ও ইউরোলোজি চিকিৎসক ডা. এএসএস তানভীর হাসান, গাইনি ও প্রসূতি চিকিৎসক ডা. মারজানা জাহান মুমু এবং মেডিসিন চিকিৎসক ডা. নাফিসা তাসলিমা ঐশীর সহযোগিতা নিয়ে দিনব্যাপী তাদের ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার উদ্যোগে আমার ডাকে সারা দেয়া চিকিৎসকদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি চাই সব চিকিৎসকই গ্রামের গরীব ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসুক।’
চিকিৎসা নিতে আসা রিজিয়া বেগম (৬৫) জানান, তার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। ছেলে সন্তান নেই তার। এক মেয়ে রয়েছে বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই। সংসারে তার আয় রোজগার করার মতো কেউ নেই। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি মাজা ও ডান পা ব্যথা নিয়ে ভুগছেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। আজ বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ পেয়ে তিনি অনেক খুশি। সারমিন আক্তার জানান, তার স্বামী একজন জেলে। নদীতে নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। তার দুই মাসের শিশুর ৩-৪ দিন ধরে ঠান্ডা ও জ্বর। টাকার অভাবে ডাক্তার দেখাতে পারছিলেন না। আজ ফ্রিতে ডাক্তার দেখিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ পেয়েছেন তিনি।
ভোলা সিভিল সার্জন ডা. সাঈদ রেজাউল ইসলাম জানান, এটা একটা ভালো উদ্যোগ। প্রতিটি চিকিৎসকের এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।