রোজার উত্তাপ এখনই ভোলার নিত্যপণ্যের বাজারে
ভোলা থেকে | প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৪
কয়েকদিন পরই রোজা, শুরু হতে এখনো প্রায় ২০/২৫ বাকি। এখনই রোজার উত্তাপ বাড়তে শুরু করছে ভোলার নিত্যপণ্যের বাজারে। একদিকে করোনায় কর্ম সংকোচন, অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেশি। দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিদিনই কিছু না কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন পাইকারী বাজারে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যে দাম বাড়াচ্ছে। তাই আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও সক্রিয় কিছু অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী। রোজা সামনে রেখে তারা এখন থেকেই রমজানে ব্যবহৃত পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। সব মিলিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা, যা দুমাস আগে বিক্রি হয় ৭০ টাকা। আর গত বছর এই সময় বিক্রি হয় ৭৫ টাকা। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৬০ টাকা, যা দুমাস আগেও ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। গত বছর এই সময় বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা, যা দুমাস আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়।
আর গত বছর এই সময় বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা দুমাস আগে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা। আর গত বছর এ সময়ে বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা। এছাড়া হলুদের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া গুঁড়া দুধের মধ্যে ফ্রেশ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, যা দুমাস আগে বিক্রি হয়েছে ৫৬০ টাকা। আর গত বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা। মাসখানেক ধরে ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বিশেষ করে রোজায় যে সমস্ত পণ্যের বাড়তি চাহিদা রয়েছে সেসব পণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।
এদিকে, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা বলেন, ‘রমজানের সময় পণ্যের দাম নিয়ে যাতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য প্রস্তুতি রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। এবার কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।