শেষ হয়নি দিনাজপুর- গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ
দিনাজপুর থেকে | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২১, ০২:১২
১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণের কাজ। চরম ভোগান্তিতে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের ধূলা আর পাথর কুচির জ্বালায় অনেকে শ্বাসকষ্ট আর চোখের সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
জানা গেছে, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ ১০৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের মধ্যে কেবলমাত্র বিরামপুর-ফুলবাড়ী পর্যন্ত বিশ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটির গোবিন্দগঞ্জ থেকে বিরামপুর ৪৮ কিলোমিটার ও ফুলবাড়ী থেকে দিনাজপুর ৪০ কিলোমিটার কাল-খন্দ আর খোয়া বালু সহ প্রথম পর্যায়ের পাথর বিছানো রয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে রাতদিন বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে।
যানবাহন চলাচলের সময় সড়কের ধূলায় অন্যান্য পথ যাত্রীদের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এছাড়া প্রথম পর্যায়ের বিছানো কুচি এমনভাবে ছিটিয়ে যাচ্ছে তাকে করে পথচারীদের চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৮ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজের বরাদ্দ হয়। সেই বরাদ্দ অনুযায়ী ২০১৯ সালে ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালে এপ্রিলের ৭ তারিখ পর্যন্ত প্রশস্তকরণের কাজ আংশিক শেষ হয়েছে। প্রশস্তকরণের কাজটি ৮৬৪ কোটি
টাকা বরাদ্দে একটি গুচ্ছ প্যাকেজের মাধ্যমে সম্প্রসারণের কাজটি শুরু হয়।
সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্ত থেকে ৯ দশমিক ৭ মিটার করা হবে। সড়কটি প্রশস্তকরণে দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক কালভার্ট ভেঙ্গে একই স্থানে নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। দেখা গেছে, অনেক স্থানে কালভার্টের প্রয়োজন না থাকলেও কালভার্ট নির্মাণ করে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও অনেক স্থানে পানি নিষ্কাশন হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, অটোতে যাতায়াত করে থাকে। যখন একটি যানবাহন দ্রুত সড়ক দিয়ে যায় তখন চারিদিকে ধূলায় অন্ধকার হয়ে যায়। সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ দিনে মাত্র দু’বার পানি ছিটিয়ে যাচ্ছে। যা তাৎক্ষণিক সড়কে শুকিয়ে যায়। সারাদিনে অন্তত ৪ বার পানি দেওয়া প্রয়োজন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আনিছুর জানান, চুক্তি অনুযায়ী মার্চ মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা।
চুক্তি মোতাবেক সময়ের পূর্বেই কাজটি শেষ করার চিন্তাভাবনা ছিল। কিন্তু প্রথম স্টেজে করোনার কারণে কাজটি বন্ধ থাকায় এবং সঠিক সময়ে অর্থ সরবরাহ না হওয়ায় কাজ ধীর গতিতে করতে হচ্ছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনে করছে আগামী মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কিন্তু কাজের গতি ও বাস্তব চিত্রে দেখা যাচ্ছে আরও ৩-৪ মাসেও কাজটি শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: দিনাজপুর
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।