কঠোর লকডাউনে মাস্কের দাম দ্বিগুন
নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ০৪:২২
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন (১৪-২১ এপ্রিল) শুরু হয়েছে দেশে। সংক্রমণের শুরু থেকেই জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সব সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়েছে ‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’ পলিসি। মানুষকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে বাধ্য করতে প্রশাসনের চলছে অভিযান। মাস্ক না পরলে করা হচ্ছে জরিমানাও।
এতে বাজারে মাস্কের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়ে গেছে। এ সুযোগে সব ধরনের মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কঠোর লকডাউনের ঘোষণার পরই পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। এতে তারাও মাস্কের দাম বাড়াতে বাধ্য হন। ফার্মেসির বিক্রেতা তহিদ ইসলাম বলেন, আগে তিন লেয়ারের ইন্ডিয়ান ফেইস মাস্কের বাক্স ১৫০ টাকায় কিনতাম, সেটা এখন ২২০ টাকায় কিনেছি। আমরা বেশি দামে কিনেছি বলে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে স্যানিটাইজার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
সৈয়দপুরের পাইকারি বিক্রেতা ইমরান ফার্মেসীর মালিক ইমরান হোসেন জানান, বুধবার থেকে মাস্কের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বলেন,“এখন মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার দুটারই চাহিদা বেড়েছে। অনেক মানুষ কিনছে। ক্রেতাদের মোটামুটি চাহিদা থাকায় আমরাও এগুলোর অর্ডার দিচ্ছি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আনছি।”
বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। অথচ কয়দিন আগেও ১০ টাকায় পাওয়া গেছে ২টি মাস্ক। আগে ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাপড়ের মাস্কের দামও এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এ ছাড়া কেএন-৯৫ মাস্কের দাম ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। এন-৯৫ মাস্কের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় মিলছে এ মাস্ক।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।