• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


গোপালগঞ্জে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ

গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৮

লকডাউনে কারণে গোপালগঞ্জে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ, পরিবার নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে অনাহারে-অর্ধাহারে

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চাপাইল গ্রামের রিক্সা চালক মফিজুর রহমান। সংসারে রয়েছেন বয়স্ক মা, স্ত্রী আর ১০ বছর বয়সী এক ছেলে ও ৬ মাস বয়সী এক মেয়ে। সরকার ঘোষিত প্রথম দফায় লকডাউন রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হন নি তিনি। কিন্তু সরকারী সহযোগিতা না পাওয়ায় ৫ জনের সংসার চালাতে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। বাইরে লোকজন না থাকায় ভাড়া কম হওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের কারণে গোপালগঞ্জে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। কাজ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। পেটের তাগিদে বাইরে বের হলেও পুলিশী বাধার মুখে পড়ছেন তারা। জেলা শহরের পুলিশ লাইন থেকে পাচুরিয়া পর্যন্ত অন্তত ৬টি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ী চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে পুলিশ। এসময় তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে তাদের মত একই অবস্থা দোকান কর্মচারীদের। দোকান পাট বন্ধ থাকায় কাজ করতে পারছেন না তারা। এতে দোকান মালিকদের কাছ থেকে বেতন তো দূরের কথা আর্থিক সহযোগিতাও পাচ্ছেন না। ফলে কোন রকমে না খেয়ে সংসার চালাতে হচ্ছে তাদের। রিক্সা চালক সদর উপজেলার চর সোনাকুড় গ্রামের ইবাদুল মোল্যা বলেন, গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হলে এখন আর ভাড়া পাচ্ছি না। আগে যেখানে ৮’শ টাকা রোজগার করতাম সেখানে এখন দু’শ টাকাও রোজগার করতে পারছি না। এতে সাংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

সদর উপজেলার কংশুর গ্রামের মিরাজ ফকির বলেন, আমার সংসারে ৮ জন লোক। রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হলে পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে। এতে রিক্সা চালাতে পারছি না। ফলে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। দোকান কর্মচারী সুশান্ত সাহা বলেন, সংসারে তিনজন রয়েছে। দোকান মালিক দোকান খুলতে না পারায় দোকানে যেতে পারছি না। একে বেতনও পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত কোন সরকারী সহযোগিতা পাইনি। লকডাউন তুলে দোকান খুলে দিতে সরকারের প্রতি দাবী জানাই।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, লকডাউন ঘোষণার পর ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে জেলায় ৬ হাজার ৬৬২টি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জিআর পেয়েছি ৩৫ হাজার পরিবারের জন্য ৫’শ টাকা করে এং ভিজিএফ এসেছে ৮৯ হাজার ৩৬৩ পরিবারের জন্য ৪৫০ টাকা করে। আজ থেকে যাতে এ বরাদ্দগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তার কাজ শুরু করা হয়েছে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top