শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

করোনায় সৈয়দপুরে ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট ঈদ বাজার

নীলফামারী থেকে আমিরুল হক | প্রকাশিত: ৬ মে ২০২১, ০১:১৬

করোনায় সৈয়দপুরে ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট ঈদ বাজার

আর কয়টা দিন দেখতে দেখতে চলে এসেছে ঈদ। তাই ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট ঈদ বাজার। ঈদ আনন্দে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে চলছে ঈদ শপিং।

মোটরসাইকেলের সারি দেখলে বোঝা যায় মার্কেটে কত ভিড়। শপিংমলের সামনে শত শত মোটরসাইকেলের সারি। আর পার্কিংয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির বহর। রমজানের শুরু থেকেই নীলফামারীর সৈয়দপুর প্লাজা শপিংমলের সামনে এই চিত্র চোখে পড়ে। এসব দেখলে বোঝা যায় কি পরিমাণ মানুষ বিপণী বিতানগুলোতে গিজগিজ করছে। গোটা শহর জুড়ে ঈদের কেনাকাটায় মেতে উঠেছে মানুষ। গভীর রাতেও মানুষের চলাচল থামছে না।

উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধের মাঝেও মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে কয়েকদিন ধরে। সৈয়দপুর ছাড়াও আশেপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে চেপে লোকজন মার্কেটে আসছেন। এতে করে শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে। সামাজিক দূরত্ব তো দুরের কথা ক্রেতা-বিক্রেতার উভয়ের মুখে মাস্ক চোখে পড়ছেনা তেমন। ফলে শপিং করতে আসা মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সৈয়দপুর প্লাজায় পিন্ধন ফ্যাশনে দেখা যায় নারী ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়। একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছেন এবং দিব্যি কেনাকাটা করছেন। তবে শোরুম স্বত্বাধিকারী আহমেদা ইয়াসমিন ইলা জানান, মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সাথে শোরুমে প্রবেশের মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। একই মার্কেটের তৈরি পোশাকের প্রতিষ্ঠান সাগর গার্মেন্টস মালিক ওমর ফারুক সাগর জানান, মার্কেটে ভিড় আছে কিন্ত বেচাকেনা তেমন নেই। গেল বছরের মতো এবারও লোকসান গুণতে হবে।
মার্কেটে কাপড়-চোপড় কিনতে আসা স্কুল শিক্ষিকা সীমা আক্তার জানান, ছেলে-মেয়েদের কাপড় কিনতে এসেছি। কিন্ত ভিড়ের কারণে কুলাতে পারছি না। তাছাড়া কাপড়ে কোন নতুনত্ব নাই এবং দামও বেশী।

শহরের নিউ ক্লথ মার্কেট, শিল্প সাহিত্য সংসদ সুপার মার্কেট, চৌধুরী টাওয়ার, পৌর বাজার, আধুনিক কাপড় বাজার সব বিপনী কেন্দ্রে ঈদের কেনাকাটা চলছে। করোনা নিয়ে মানুষের মাঝে নেই কোন ভীতি। অথচ সৈয়দপুরে প্রায় প্রতিদিনই ৩-৬ জন করে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আলেমুল বাসার। তিনি বলেন, এ উপজেলায় করোনায় এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতন না হলে এবং বাইরের লোকজন আনাগোনা বন্ধ না হলে কঠিন মূল্য দিতে হবে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসিম আহম্মেদ বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা মনিটরিং করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পৌর শহরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে । কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top