করতোয়া নদীর ওপর
বেইলি সেতুটি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ভারী যানবাহন চলাচল
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে | প্রকাশিত: ৭ মে ২০২১, ২৩:২৩
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম মাধ্যম করতোয়া নদীর উপরে নির্মিত বেইলি সেতু। কিন্তু জরাজীর্ণ এই বেইলি ব্রীজটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা।
নির্মাণের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতির কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ এ বেইলি ব্রীজটি মেরামতের কোন খোঁজ খবর নেই। বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রতিদিন বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়ে চলাচল করছে ভারী যানবাহনসহ হাজার হাজার যাত্রী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে ১৫/২০ টন ওজনের মালামাল নিয়ে অবাধে চলাচল করছে ট্রাকসহ ভারী যানবাহন।
জানা যায়, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রথম যোগাযোগ মন্ত্রী হলে করতোয়া নদীর ওপর ব্রীজটি গুরুত্ব অনুভব করে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রীজ নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রীজ নির্মাণের জন্য আর সি সি পাইলিংযের কাজ সম্পন্ন করার পরপরই দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দ্বিতীয় বার যোগাযোগ মন্ত্রী হয় সে সময় পূর্ণাঙ্গ সেতুটির বাজেট বরাদ্দ না হওয়ায় ১৯৯৮ সালে একটি বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।
ব্রীজটি নির্মাণ শেষে সে সময় যোগাযোগ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নিজে ঘোড়াঘাটে এসে ব্রীজটি উদ্বোধন করেন। দিনাজপুর জেলার সঙ্গে রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় যাতায়াতের মাধ্যম এই বেইলি ব্রীজটি। বেইলি সেতুটির বয়স অনেক হওয়ায় একটি গাড়ী সেতু উঠলেই ঝন ঝন শব্দ হয়, মনে হয় এই বুঝি ভেঙ্গে পড়বে।
মাঝে মাঝে জোড়া তালি দিয়ে বেইলি সেতুটি সংস্কার করে চলার উপযোগী করলেও কিছু দিন পরে পূর্বের অবস্থায় দেখা যায়। অপরদিকে সেতুটি অতি সরু হওয়ায় এক সঙ্গে দুটি গাড়ি ক্রস করতে পারে না। সেতুটি একমুখী হওয়ায় ট্রাক, বাসসহ বড় যানবাহন পারাপারের সময় উভয় প্রান্তে সৃষ্টি হয় যানজটের। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চালকসহ এ পথের যাত্রীরা।
এই বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে সড়ক ও জনপদ বিভাগ তৈরি করে এই সেতু। ঘোড়াঘাট উপজেলা ও আশেপাশের উপজেলা সহ রংপুর, গাইবান্ধা জেলার যোগাযোগ মাধ্যম এই সেতুটি সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তন হলেও বেইলি সেতুটির অবস্থা দিনের পর দিন করুণ হয়ে পড়ছে, যেন দেখার কেউ নেই।
ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নূরনবী খানের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, এই সেতুটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায়, আমাদের আওতায় নেই। দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমার সাথে এই বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
১১ দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন যে ব্রীজটি অপসারণ করে অতিদ্রুত সেখানে আর সিসি সেতু নির্মাণ করে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে রক্ষা করতে জোর দাবী জানাই।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: ঘোড়াঘাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।