সেনদিয়া গণহত্যা দিবস আজ

মাদারীপুর থেকে | প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২১, ১৯:০৭

সেনদিয়া গণহত্যা দিবস আজ

বুধবার (৫ জ্যৈষ্ঠ) ১৯ মে সেনদিয়া গণহত্যা দিবস। একাত্তরের এইদিনে রাজৈরে খালিয়ার সেনদিয়া, পলিতা, ছাতিয়ানবাড়ী ও খালিয়া গ্রামের দেড় শতাধিক মুক্তিকামী মানুষ জীবন রক্ষা করতে আশপাশের আখ ক্ষেত ও ঝোপ-জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে সরকারিভাবে সেনদিয়ায় স্মৃতিসৌধ নির্মিত হচ্ছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর হলেও খুশি শহীদ পরিবারের স্বজন, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়রা।

সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি ২০১৪ সালের ১৭ মে রাজৈর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি পস্তুর স্থাপনকালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদর আলশামসদের হাতে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে মাদারীপুরে ১০ বদ্ধভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।

এর মধ্যে রয়েছে রাজৈরে ৬টি ও মাদারীপুরে ৪টি। তার ওই ঘোষণার ৬ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় রাজৈরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি যাদুঘর ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য ৪টি স্থানে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৪ টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে খালিয়ার সেনদিয়ায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮২টাকা।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজৈর উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী শেখ বলেন, ‘হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে খালিয়ার সেনদিয়া, পলিতা, ছাতিয়ানবাড়ী ও খালিয়া গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ শহীদ হয়। হত্যার পর লাশগুলো ৬টি স্থানে গণকবর দিয়ে রাখা হয়। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সেনদিয়ায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এতে শহীদদের স্বজন, এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা খুশি।’

মুক্তিযুদ্ধকালীন খলিল বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া ৫ জ্যৈষ্ঠ ১২৫-১৩০জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তাদের স্মৃতি সংরক্ষণে জন্য বর্তমান সরকার স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করছেন। আমি আশাকরি হানাদার বাহিনী যাদের হত্যা করেছিল তাদের নাম স্মৃতিসৌধে সংরক্ষণ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।’


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top