সাঘাটায় ২০ পরিবারের শতাধিক মানুষের মানবেতর জীবনযাপন

গাইবান্ধার সাঘাটা থেকে | প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২১, ২০:৪২

বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তা অভাবে, সাঘাটায় ২০ পরিবারের শতাধিক মানুষের মানবেতর জীবনযাপন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালের পাড়া ইউনিয়নের বারোকোনা বাজারের ক্লাব মোড় নামক স্থানে ঈদগাহ মাঠে উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশসহ তিন পাশেই ইটের দেয়াল নির্মাণ করায় মাঠের পশ্চিম পাশের ২০ পরিবারের বিভিন্ন বয়সের কমপক্ষে শতাধিক মানুষ একমাস ধরে রাস্তা অভাবে বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছেনা। বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় সীমাহীন কষ্টে দিন কাটছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরসহ উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী মহল।

ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ঈদগাহ মাঠ দিয়ে রাস্তা চেয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় সুবিচার চেয়ে অবশেষে ২৪ মে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করেছে। আবেদনের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের কেহ বিষয়টি তদন্তে আসেনি। এনিয়ে সচেতন মহলে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

সচেতন মহল বলেন," ঈদগাহ মাঠে বছরে দুদিন নামাজ পড়া হয়। সেখানে মাঠের তিন পাশে বাউন্ডারি দিয়ে শতাধিক মানুষের চলাচলে বা জীবিকা নির্বাহে অমানবিক কষ্টের সৃষ্টি হলেও তারা কেন এই কাজটি করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কয়েক যুগ ধরে পরিবারগুলো সেখানেই বসবাস করে আসছে। ওই জমিগুলোও তাদের। অভাবের কারনে কেহ বিক্রি করেছে। সেখানেই ঈদগাহ মাঠ করা হয়েছে।"

দেখা যায়, মাঠের উত্তর-পশ্চিম পাশে একটি বাড়ির সামনে তিন ফুট ফাঁকা রেখে যাতায়াতের জায়গা রাখা হয়েছে। রাস্তাটির সাথেই একটি বাড়ি সেই বাড়ির সামনে দিয়ে কোনভাবেই কারো যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই। বাড়ির চারপাশে তার কাটার বেড়া রয়েছে।

এ ব্যাপারে ওই বাড়ির মালিক জানান, "ঈদগাহ মাঠ কমিটি প্রথম যখন বাউন্ডারি করে তখন মাঠের মাঝখানে রাস্তা রাখবে জানায়। সে মোতাবেক আমি বাড়ি ঘর নির্মাণ করি। পরে কমিটি বাউন্ডারি মাঝখানে রাস্তা না দিয়ে দক্ষিণ পাশে রাস্তা দিতে চায় এবং মাঝের জায়গাটিতে দেয়াল নির্মাণ করে। আবার কিছুদিন পর দক্ষিণ পাশে রাস্তার জায়গা না রেখে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয় এবং আমার বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা দেয়। কিন্তু আমার গাছপালা ও ল্যাট্রিন থাকায় ওই পরিবারগুলোর লোকজন আমার বাড়ির ওপর দিয়ে রাস্তা হাটতে পারছেনা। আমিও দেখছি তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।"

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top