সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২১, ২১:৫৯

সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু, লকডাউনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না সাধারন মানুষ

সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনের মধ্যে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে আরো চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল ২৪ ঘণ্টায় তারা মারা যান। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত শ্যামনগরের আশুতোষ খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এছাড়া ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ও শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আরো একজন মারা গেছেন। এনিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন মোট ৫৬ জন। আর ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্ততঃ ২৬০ জন। এছাড়া জেলায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৮৫ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা সংক্রমণের হার ৪৫ দশমিক ২১ শতাংশ।

উপসর্গে মৃতরা হলেন, সদর উপজেলার দেবনর গ্রামের মনোয়ারা, শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী সোরা গ্রামের কলিম উদ্দীন ও কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের তহমিনা। এছাড়া বেসরকারী হাসপাতালে যিনি মারা গেছেন তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে, চলমান লকডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিন আজ শুক্রবার। কাল শনিবার থেকে আরও এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হচ্ছে। লকডাউনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে, সাধারন মানুষ কিছুতেই মানতে চাচ্ছেননা স্বাস্থ্যবিধি। হাট-বাজার গুলোতে সাধারন মানুষের ভিড় লক্ষণীয়।

লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন এবং সীমান্ত দিয়ে কেউ যাতে পারাপার না হতে পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এরই মধ্যে জেলা শহর ও গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা উপসর্গ নিয়ে ভুগছেন অধিকাংশ মানুষ। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬১ জন ও সদর হাসপাতালে ২৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। বাকীরা বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top