দোয়ারাবাজারে চায়ের দোকানে সকাল সন্ধ্যা জুয়ার মেলা, ধ্বংস হচ্ছে ছাত্র ও যুব সমাজ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১, ০৫:৩৯

দোয়ারাবাজারে চায়ের দোকানে সকাল সন্ধ্যা জুয়ার মেলা, ধ্বংস হচ্ছে ছাত্র ও যুব সমাজ

দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় প্রতিটি চায়ের দোকানে রয়েছে লুডু ক্যারাম ও গাফলা খেলার ব্যবস্থা। রাস্তার পাশে রয়েছে তাস গাফলা ও লুডু খেলার আড্ডা।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র ও যুবকদের বেশিরভাগ অংশই সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা সেই খেলায় সময় দিচ্ছে। বলা যায়, সময়জ্ঞান নেই বলেই তারা সময়কে বিপথে কাজে লাগাচ্ছে।

ছাত্র ও যুব সমাজ ধীরে ধীরে জুয়ার সাথে মিশে যাচ্ছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে তারা। বাক-প্রতিবন্ধি মানুষের মতই সমাজের একটি প্রবীণ শ্রেণি নিজেদেরকে পুরোপুরি সম্পৃক্ত না করলেও বাধা দিচ্ছেন না। অন্যদিকে প্রচলিত আইনেও এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিশেষ করে রাস্তার পাশে দোকানগুলোতে কেরাম, লুডু, গাফলা ও তাস খেলাতো সম্পূর্ণ অবৈধ।

এতে করে ছাত্ররা প্রতিদিন ১২০-১২৫ টাকা অনর্থক ব্যয় করে। পাশাপাশি বোর্ড ভাড়া দিয়ে আবার অতিরিক্ত টাকা গচ্ছা দিতে হয়। ছাত্রদের বাবার পকেটের টাকা ব্যতীত আয়ের তেমন কোন উৎস নেই। প্রতিনিয়ত টাকা বাজে পথে খরচ করতে গিয়ে ঘরে চুরির অভ্যাস গড়ে উঠে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। বাজি ধরা বা জুয়া নামক এই সামাজিক ব্যাধিতে অনেক পরিবার ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে।

স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, দোকানদার তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে লুডু খেলা বা জুয়া খেলার সুযোগ করে দিচ্ছেন দোকানের ভিতরে। এ খেলা প্রতিকারের জন্য আইন প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন নাগরিকগন।

পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি দোকানেই টেলিভিশন চালিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডার মগ্ন থাকে এলাকা কিছু লোক। তাতে করেও চোর-ডাকাতের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সুশীল সমাজ।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, রাস্তার পাশে কেরাম, তাস ও লুডু খেলার কোন বৈধতা নেই। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি অবগত নয়। খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top