মর্গে মৃত কিশোরীদের ধর্ষণ করত মুন্না ভগত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ২৯ মার্চ-২৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ জন মৃত কিশোরীর লাশ ধর্ষণ করার প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। এরপড়েই সারাদেশের হাসপাতাল গুলোর মর্গে নজরদারি বাড়িয়েছে সিআইডি।

কিছুদিন আগে আত্মহত্যা করে মারা যাওয়া কিশোরীদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছিল। তখন রাতে লাশগুলোর সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক করেছিলেন ডোমের সহযোগী মুন্না ভগত।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। শুক্রবার ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমকে জানান তারা।

মুন্নার বাড়ি রাজবাড়ীতে। মুন্না সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের কোনো কর্মচারী না। হাসপাতালের ডোম যতন কুমারের ভাগ্নে হওয়ার সুবাদে মুন্না সেখানে কাজ করত। মর্গে আসা মরদেহগুলো সে গ্রহণ করত। রাতে যে লাশগুলো মর্গে থাকত সেগুলো ও সো পাহাড়া দিত। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বিকৃত মানসিকতা চরিতার্থ করত মুন্না।

শুক্রবার(২০ নভেম্বর) মুন্না ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে তার কর্মকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু সে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না। তার মতে, মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা কোন দোষ না।

সিআইডি কর্মকর্তারা জানায়, প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম ধরা পড়েছে। মুন্নার এ জঘন্য অপরাধের জন্য তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২০