• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


হেফাজতে মৃত্যুর প্রথম রায়: জনি হত্যায় তিন পুলিশের যাবজ্জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৩৭

নিহত জনি(ছবি:সংগৃহীত)

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুলিশ হেফাজতে জনি নামের এক আসামির মৃত্যুর ঘটনা মামলায় পুলিশের দুই উপপরিদর্শক(এসএই) ও একজন সহকারী উপপরিদর্শক(এএসআই) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় পুলিশের সোর্স রাশেদ ও সুমনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।  ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (৯ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায়ে জনির পরিবারকে ১৪ দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলায় অপর দুই আসামি  রাশেদ ও সুমনকে সাত বছর কারাদণ্ড একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, রাশেদুল ইসলাম (উপপরিদর্শক), কামরুজ্জামান মিন্টু (সহকারী উপপরিদর্শক)।

২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থানায় নিয়ে জনিকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে জনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৭ আগস্ট পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করে জনির মৃত্যুর অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি।  ওইদিন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।  ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল এসআই জাহিদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় মোট ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

এনএফ৭১/এমকে/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top