মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্যাংক থেকে ১৪৯ ভরি সোনা উধাও

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৪, ১৩:৩০

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রামের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার উধাও হয়ে গেছে। সোনা চুরির ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারাই জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী। 

গত ২৯ মে দুপুরে ঘটলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক কেউই থানায় অভিযোগ করেননি।

শনিবার (০১ জুন) নগরের চকবাজার এলাকার ইসলামী ব্যাংক থেকে গত ২৯ মে লকার খুলে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন স্বর্ণের মালিক রোকেয়া বারী। এরপর তিনি চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাধারণ ডায়েরি অ্যান্ট্রি করেননি চকবাজার থানায় তিনি।

চট্টগ্রাম আদালতে আগামী সোমবার (৩ জুন) ভুক্তভোগী একটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । নগরের চট্টেশরী রোডের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা তিনি। তার চুরি হওয়া ১৪৯ ভরি স্বর্ণের মধ্যে রয়েছে ৪০ পিস হাতের চুরি (বড় সাইজ)। যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের ৪টি জড়োয়া সেট। যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট। ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি। ৩০ জোড়া কানের দুল। যার ওজন ১১ ভরি বলে জানান তিনি।

ভুক্তভোগী রোকেয়া বারী বলেন, গত ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করি। পাশাপাশি আমার নামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে। কিন্তু গত বুধবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টায় আমি কিছু স্বর্ণ লকার থেকে আনতে যাই। এসময় লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লকার খুলে দেয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি তার চাবি দিয়ে লকার রুমের দরজা খুলে দেন। খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমি দেখতে পাই, আমার জন্য বরাদ্দ রাখা লকার খোলা। পরে আমি বিষয়টি দ্রুত চকবাজার থানার ওসিকে জানাই। তিনি দ্রুতই ঘটনাস্থলে আসেন। দেখতে পান আমার লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি স্বর্ণ অবশিষ্ট রয়েছে। আমার ধারনা, ব্যাংকের লোকজনই এ ঘটনায় জড়িত।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে বলেন, এ ঘটনায় চকবাজার থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করতে যাই, কিন্তু ওসি সাহেব বলেছেন জিডি হবে না, মামলা করতে হবে। তাই আগামী সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে আমরা মামলা দায়ের করব। সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

ম্যানেজার শফিকুল মওলা বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে, তবে মোবাইলে কিছুই বলা যাবে না। অফিসে আসেন, কথা বলব।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবরের অফিসিয়াল নম্বরে কয়েকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top