শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কিশোর গ্যাং লিডার শান্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুবক হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৪, ১৭:২৪

ছবি: সংগৃহীত

মামলা তুলে না নেওয়ায় কিশোর গ্যাং লিডার বরিশ্যাইল্লা শান্ত বাহিনীর হামলায় শ্রাবন নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করে বলে থানায় অভিযোগ ভিকটিম শ্রাবনের মা রাজিয়া আক্তার বেনি সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে ভিকটিমের মা উল্লেখ্য করেন আমি রাজিয়া আক্তার বেনী (৩৯) থানায় এসে বিবাদী ১। অনিক পারভেজ (২২), পিতা- রুহুল আমিন, সাং- বন্দেরা, ২। শান্ত (২৭), পিতা- মাসুম, সাং- বাড়ীমজলিশ, ৩। আরিফ (২৩), পিতা-বাসেদ, সাং- বাড়ী মজলিশ, ৪। আসাদ (২৩), পিতা- মজিবর, সাং- বন্দেরা, ৫। হৃদয় (২২), পিতা- আসাবুদ্দিন, সাং- বাড়ীমজলিশ, ৬। জায়দুল (৩৩), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- টিপরদী, সর্ব থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়নগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, উপরোক্ত বিবাদীগন কিশোরগ্যাং এর সদস্য।

তিনি বলেন, বিবাদীগন গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে আমার ছেলে শ্রাবণ (১৯) কে মারপিট করে। আমি বাদী হইয়া সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করি। যাহার নং- ২৯ (১০)২০২৩ ধারা- ১৪৩/৩২৩/ ৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড। এই মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানা হইতে অভিযোগপত্র দাখিল করি। আমি বিজ্ঞ আদালতে নারাজি পিটিশন দায়ের করি। এই মামলা দায়ের করার পর হইতে উপরোক্ত বিবাদীগন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে সহ আমার ছেলেকে হুমকি দিতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মামলা তুলে না নিলে আমার ছেলেকে খুন করিয়া লাশ গুম করার হুমকি দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জুন ২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে শ্রাবণ বাসা হইতে ফুলবাড়িয়া যাওয়ার পথে সোনারগাঁ থানাধীন ফুলবাড়ীয়া গাজীর বালুর মাঠে পৌছিলে উপরোক্ত বিবাদীগন আমার ছেলেকে আটক করিয়া এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে।

রাজিয়া আক্তার বলেন, ১নং আসামীর হাতে ধারালো ছেনাদা খাড়া দিয়া আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে সে ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে আঘাতটি। ডান হাতে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম হয়। ২নং আসামী এসএস পাইপ দ্বারা আমার ছেলে ডান হাতে বাহুতে বাড়ি মারিয়া থেতলানো জখম করে। ৩নং বিবাদী লোহার রড দিয়া আমার ছেলের পিঠে ও মাজায় পিটাইয়া নিলাফুলা জখম করে। অন্যান্য আসামীগন এলোপাথারী ভাবে লাথি, কিল ঘুষি মারিয়া নিলাফুলা জখম করে।

তিনি বলেন, আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে বিবাদীগন খুন/জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। আমরা সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া আমার ছেলেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সোনারগাঁ, নারায়নগঞ্জ গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করি। উক্ত বিবাদী খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। যেকোন সময় আমি বা আমার পরিবারের লোকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি করিতে পারে।

রাজিয়া আক্তার আরও বলেন, আমার ছেলের চিকিৎসার কাজে ব্যাস্ত থাকিয়া এবং ঘটনার বিষয়ে আমার আত্বীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ করিতে বিলম্ব হইল।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top