ডা. সাবরিনা ও স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৪, ২২:১২
কারোনা টেস্টের ১৫ হাজার ৪৬০ ভুয়া ও জাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে জনগণের সাথে প্রতারণার অভিযোগে আলোচিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১০ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
কারোনা টেস্টের ১৫ হাজার ৪৬০ ভুয়া ও জাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
এতে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে বুথ থেকে করোনার স্যাম্পল কালেকশনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বুথ থেকে স্যাম্পল কালেকশন না করে ডা. সাবরিনা শারমিন ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর নির্দেশে তার অফিসের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফি হিসেবে প্রতিটি টেস্টের জন্য আনুমানিক ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
এছাড়া যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে ভুয়া ও জাল রিপোর্ট (আনুমানিক ১৫,৪৬০টি) প্রস্তুত করে সেবা গ্রহীতাদের কাছে সরবরাহ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি এবং লকডাউনের সময় ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন মাত্র ৩ মাসে ওভাল গ্রুপ এবং এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ভেলবিল সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৭ টাকা জমা হয়। যা করোনা টেস্টের টাকা মর্মে প্রতীয়মান হয়।
শুধু তাই নয়, তিনি প্রতারণা ও জালিয়াতির উদ্দেশে নিজের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে দুটো সচল জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করে তা দিয়ে দুটো ভিন্ন টিআইএন নম্বর খোলেন এবং প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালকে ১৯৮৩ বানিয়ে তার কর্মস্থলে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধা অবৈধভাবে গ্রহণের অপচেষ্টা করেছেন।
মামলার বিবরণে আরও বলা হয়েছে, আসামিরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার উদ্দেশে ভুয়া ও জাল রিপোর্ট (আনুমানিক ১৫,৪৬০টি) প্রস্তুত করে তা সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতাদের কাছে সরবরাহ করে করোনামহামারির সময়ে জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ বিস্তার ঘটিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
এটি দণ্ডবিধি ১৬৮/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই তাদের রিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় দুদক ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে আজ একটি মামলা করেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।