কলকাতার ইকো পার্কে দেখা মিলল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৫৬
হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। কেউ আত্মগোপনে থাকার পর গ্রেপ্তার হচ্ছেন। কেউ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে ধরা পড়ছেন। কেউ বিদেশে পালিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের একজন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি ইকোপার্কে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের এই নেতাকে। সেখানে আড্ডা দেওয়ার সময় বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরায় তিনি ধরা পড়েন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেসরকারি ওই টেলিভিশন জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলকাতার ইকোপার্কে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল। সেখানে আরো ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজি সেলিমের ছেলেসহ বেশ কয়েকজন।
এ সময় আসাদুজ্জামান খানের মুখে সাদা দাড়ি দেখা যায়। পরে পার্কে কিছু বাংলাদেশি জড়ো হয়ে যাওয়ায় তারা দ্রুত সটকে পড়েন। এ ছাড়া কিছু অপরিচিত লোকজন ভিডিও করতে বাধা দিচ্ছিলেন। তবে সেখানে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশি তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট তিনি পালিয়ে দেশ ছাড়েন।
আসাদুজ্জামান খান কামালকে ধরতে দেশে চার দফা অভিযান চালিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধরতে না পারলেও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সূত্র- চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
প্রশ্ন হচ্ছে- কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন আসাদুজ্জামান খান কামাল? গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) শাহ আলম বলেছেন, ‘আমি গণমাধ্যমে খবর দেখেছি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে গেছেন সে তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতোটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, যাদের দেখা গেছে তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।’
তাহলে কীভাবে গেলেন? জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধ পথে গেছেন। হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতেও যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।’
একই প্রশ্নের জবাবে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘তাদের কাছেও এধরনের কোনো তথ্য নেই।’
কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছেন নাকি অবৈধভাবে গেছেন সে সম্পর্কে র্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয়ও নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।’
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।