বন্দি অবস্থায় কারাগারে কী খাচ্ছেন ভিআইপিরা?
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১৩
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতা, মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে মামলা হয়েছে শত শত। যাদের অনেকেই এখন জেলখানায়। একসময় যাদের কথায় সরকার চলতো এবং তাদের লাইফস্টাইল ছিল বিলাসী। এখন প্রশ্ন, জেলখানায় সেই তাদের দিনকাল এখন কেমন কাটছে? কারাগারে কী খাচ্ছেন সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা?
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সকালে রুটি-সবজির সঙ্গে জেলি পান। সাধারণ বন্দিদের জন্য চায়ের ব্যবস্থা না থাকলেও ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের চা দেওয়া হয়। সাধারণ বন্দিরা মাছ/মাংস পান একবেলা। কিন্তু ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা দুই বেলা মাস/মাংস পান। কিন্তু পরিমাণ সবার জন্য সমান।
সূত্র জানায়, ভিআইপি বন্দিরা কারাগারে কাজের লোকও পান। কাজের লোক একধরনের সেবক হিসাবে কাজ করেন। ওই সেবক ভিআইপি বন্দির কাপড় ধুয়ে দেন, খাবার সংগ্রহ করে দেন, প্লেট ধুয়ে দেন। এছাড়া আনুষঙ্গিক কাজ করে দেন। এই সুবিধাগুলো পাচ্ছেন সালমান এফ রহমান-আনিসুল হক, দীপু মনিরা।
কারাগারে দায়িত্ব পালন করা এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের এমপি-মন্ত্রী এবং ভিআইপিরা অধিকাংশ সময় নামাজ ও কোরআন পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ টেলিভিশনও দেখছেন। অধিকাংশ সময় কারাগারে চুপচাপ বসে থাকছেন তারা। ভিআইপি বন্দীদের যে খাবার দেওয়ার নিয়ম রয়েছে, তারাও সেগুলা পাচ্ছেন।
কারাগারে আছেন যারা
জানা গেছে, এ মুহূর্তে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যেসব ডিভিশনপ্রাপ্ত বিশেষ বন্দি আছেন তারা হলেন- দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক টুকু, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক সংসদ সদস্য আহম্মেদ হোসাইন, সাবেক রিয়াল অ্যাডমিরাল এম সোহাইল, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, হাজী মো. সেলিম, সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, সাবেক সংসদ-সদস্য শাহে আলম, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জজ, ডিআইজি মিজানুর রহমান, পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। যায় যায় দিনের খবর।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।