মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

শাহজাহান খানের যত কীর্তি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:২১

ছবি: সংগৃহীত

শাজাহান খান একজন আলোচিত ব্যক্তি। সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী। ছাত্রজীবনে করতেন ছাত্রলীগ। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের মার্চে তিনি মাদারীপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক হয়েছিলেন। তবে ওই বছরেরই অক্টোবরে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।

এরপর ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন। এরশাদ পতনের পরে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনে শাজাহান খান জাসদের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলেও হেরে যান। এর ঠিক এক মাস পরেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকায় চড়ে বসেন এবং উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মাদারীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। সেই থেকেই তিনি নৌকায় আছেন।

১৯৯০ সালে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের তিনটি ফেডারেশন এক করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ গঠন এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ট্রাক ড্রাইভার্স ফেডারেশন ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন গঠন করেন। তিনি এখনো এর কার্যকরী সভাপতি।

এখানেই শেষ না। এরপর তিনি হাত বাড়ান পোশাক শ্রমিক সংগঠনগুলোর দিকে। ২০১৩ সালে ৫২টি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠন করা হয় গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। এরও প্রধান তিনি।

ইউনিয়নিস্ট পেশায় শাজাহান খানের বিশাল এক সাফল্যের উদাহরণও দেওয়া আছে জীবনবৃত্তান্তে। সেখানে বলা আছে, ১৯৮৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত কারণে ড্রাইভার হারুণ অর রশিদকে ফাঁসির আদেশ এবং সুপারভাইজার মজিবর রহমান ও হেলপার আজিবর রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশের প্রতিবাদে আন্দোলন করে তাঁদের মুক্ত করেন। এই আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।

এ রকম একজন ব্যক্তি ৯ বছর ধরে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী। যদিও মন্ত্রীর চেয়ে তাঁর কাজকর্মে ‘ইউনিয়নিস্ট’ পেশাতেই বেশি ব্যস্ত দেখা যায়। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-২ আসন (রাজৈর-মাদারীপুর সদরের একাংশ) থেকে টানা অষ্টমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাজাহান খান।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top