শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি: ডিএমপি
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৫
কবি নজরুল কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা ইত্তেফাক ডিজিটালকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি। একটি মহল নিহত হওয়াও খবর ছড়িয়ে দেশের পরিবেশকে অশান্ত করতে চেয়েছে।’
এদিকেরাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর থেকে তাদের আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহতরা হলেন- সোহরাওয়ার্দী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের রাজীব (১৯), শাহেদুল (২০), আশিকুল (২১), রোহান (১৯), সম্রাট (১৮), জয় (১৮)। কবি নজরুল সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের রানা (২০), মারুফ (১৯), হাসিনুর (১৯), সিফাত (১৮), জাহেদুল (২১), আসিফ মাহমুদ (১৮), সাকির (১৯), জুবায়ের রহমান সাজ্জাদ (১৯), সৈকত (১৯), জারিফ (১৮); এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের আরাফাত (১৯), মারুফ (২২); অনার্স প্রথম বর্ষের অনুপম দাস (২৩), জুয়েল ইসলাম (২২), নাঈম (২২); অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের সুমন (২২)।
ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের হুমায়ুন (২০)। সলিমুল্লাহ কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের রুমান (১৯), নোমান (২০); এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের সাইদুল ইসলাম (১৯), অনয় (২১), আব্দুর রহমান (২০); অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের রাজীব (২৪)। মাহবুবর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের নাফি (১৮) (গুলিবিদ্ধ), অনার্স প্রথম বর্ষের ইনতিয়াক (২২)। দোলাইপাড় এ কে স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসরিফ (১৮)। দনিয়া ব্রাইট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহিম হোসেন (১৫)। রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের আরাফাত (১৯)।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে আহত অবস্থায় অন্তত ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মাথায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।