ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই জামায়াত কর্মী নিহত, গুলিবিদ্ধ ৫

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২৭

ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় সন্দেহভাজন ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এলোপাথাড়ি গুলি চালালে পাঁচজন গুলিবিদ্ধহয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক। দুজনই জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, মো. ওবায়দুল্লাহ (২২), মো. নাসির(৩৮), মো. আব্বাস (৩৮) ও মো. মামুন সওদাগর (৪৮)। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, নেজাম নামের এক রাজনৈতিক কর্মী ৫ আগস্টের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরেন। ফিরেই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি শুরু করেন। নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সোমবার নেজাম আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছনখোলা এলাকায় গেলে তারাবি নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে ফেলে। মসজিদের মাইক থেকেও তখন ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পরে নেজাম ও তার সঙ্গীদের গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নেজাম ও ছালেক নামে দুজন মারা যায়।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজার বরাত দিয়ে সাতকানিয়া প্রতিনিধি সুকান্ত বিকাশ ধর জানান, গণপিটুনিতে নিহত এক ব্যক্তির কাছে থাকা একটি পিস্তল এবং ৮ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি।

সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত রেজা জানান, 'সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কয়েকজন বন্দুকধারী ডাকাত একটি বাড়িতে আসার খবর স্থানীয় মসজিদে প্রচারিত হলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। একটি অটোরিকশায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদল এলোপাথাড়ি গুলি চালালে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।'

তিনি আরো জানান, 'এ সময় অটোরিকশা থেকে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।"

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্তু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top