পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা: সাবেক এমপি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২১, ২০:২৪
রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিন (৩৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে গণমাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
তিনি জানান, র্যাবের অভিযানে ভৈরব এলাকা থেকে পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মো. আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে সাহিনুদ্দিন হত্যার নেপথ্যে এম এ আউয়ালের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে মামলা হয়। গত ১৬ মে হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। সাহিনুদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিনুদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাঁকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাঁকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের মায়ের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে। নিহত সাহিনুদ্দিনের বাসা পল্লবীর ডি-ব্লকে।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।