আরও ৬০০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১৮
গ্যাস সরবরাহ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে এবার অভ্যন্তরীণ উৎসে অনুসন্ধান এবং উত্তোলনে জোর দিয়েছে সরকার। চায় আগামী দু'বছরে নতুন করে অন্তত ৬শ’ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে।
২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি কূপ থেকে এই গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লে¬ারেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি-বাপেক্স। এরমধ্যে ১৫টি কূপ থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে। আর ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন ও পুরাতন মিলে আরও ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
দেশে গ্যাস সংকট বাড়ছে। চাহিদার মেটাতে বাড়ছে ব্যয়বহুল তরল জ্বালানি এলএনজির আমদানি। তবে অন্তর্র্বতী সরকার ব্যয়বহুল প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিয়েছে।
এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস মজুদের তথ্য পাওয়ায় অনুসন্ধান ও কূপ খননে মনোযোগ দিয়েছে রাষ্ট্রীয় গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি-বাপেক্স। ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি কূপ খনন করবে প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে নতুন কূপ ৩৪টি ও পুরাতন রয়েছে ১৬টি। এরইমধ্যে ১৫টি কূপ থেকে ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি জানান, ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আরও ১০০টি কূপ খনন করবে বাপেক্স। এরমধ্যে নতুন কূপ ৬৯টি ও পুরাতন রয়েছে ৩১টি। নতুন করে শেরপুর, চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ জামালপুর ও টাঙ্গাইল এই ৬ জেলাকে গ্যাস অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে।
১০০টি কূপ খনন কাজ শেষ করতে পারলে আরো প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করেন বাপেক্সের এমডি। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হবে। নতুন সফল হলে এলএনজি আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমবে, গ্যাস সংকটও কেটে যাবে বলে আশা করেন বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।