সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১

সাবেক গভর্নর রউফসহ ২৫ জনের নামে লকার খুঁজে পায়নি দুদক

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯:১৩

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো সেফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) অভিযান শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান।

তিনি বলেন, যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম, তাদের নামে লকার নেই। আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।

২৫ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাই। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের অনেকেই এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত; অনেকে এখন চাকরিতে নেই। এখন পর্যন্ত মোট ২৭২টি সেফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি চালাতে আসে। আদালতের অনুমতির সাপেক্ষে অনুসন্ধান চালানে হয়।

গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। সেগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে আরও কিছু লকার খুঁজে পায়।

এর মধ্যে যাদের নামে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে, তাদের নামেও লকার থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে দুদক ওই সব লকারেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, দুদক তালিকা নিয়ে এসেছিল। তারা লকারের তালিকা খুঁজে দেখেছে, কিন্তু তালিকাভুক্ত কারও লকার খুঁজে পায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে ৩১৩ জন কর্মকর্তার নামে লকার সুবিধা আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ লকার রয়েছে নারী কর্মকর্তাদের। রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ভোল্টের চাবি ও ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস। তবে এসব লকারেই দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থসম্পদ বা সেগুলোর নথিপত্র রক্ষিত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top