তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে হারানোর ১ দশক!
নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২১, ০৩:১০

বাংলাদেশে অন্যতম চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক এবং গীতিকার হিসেবে সমাদৃত তারেক মাসুদ ও ক্যামেরা ‘ডিরেক্টর’ আশফাক মিশুক মুনীর মারা যাওয়ার ১ দশক হল আজ।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মাসে কাগজের ফুল লোকেশন দেখতে গিয়ে ফিরে আসার সময় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মারা যান তারা। তাদের সঙ্গে আরও নিহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী, ড্রাইভার, প্রোডাকশন ম্যানেজার ও এক কর্মী।
অপরদিকে ক্যামেরা ‘ডিরেক্টর’ হিসেবে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছেন আশফাক মিশুক মুনীর। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আশফাক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিও গ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তারেক মাসুদের সিনেমা ‘রানওয়ে’র প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন তিনি।
২০০২ সালে তার শৈশবে মাদ্রাসা জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এবং ‘একটি দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের হৃদয়স্পর্শী ও স্বচ্ছ উপস্থাপনা’র জন্য তারেক মাসুদ লাভ করেন ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট।
এই ছবির জন্য তিনি ২৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কারও লাভ করেন তারেক মাসুদ। ছবিটি বাংলাদেশ থেকে অস্কারের বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র শাখায় নিবেদন করা দ্বিতীয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র (প্রথমটি ‘জাগো হুয়া সাভেরা’)। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ‘অন্তর্যাত্রা’ (২০০৬) ‘রানওয়ে’ (২০১০) মুক্তি পায়।
নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করে সরকার।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: তারেক মাসুদ মিশুক মুনীর
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।