বর্ষীয়ান অভিনেতা বিক্রম গোখলে আর নেই
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০৫:২২
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে মৃত্যুর কাছে হার মেনে না–ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ খ্যাত এ অভিনেতা। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
গত ১৮ দিন ধরেই পুণের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রথিতযশা এই অভিনেতা। গত বুধবার হঠাৎ তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। কোমায় চলে যান অভিনেতা। তাকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেটর সাপোর্টে। এর মাঝেই তার মৃত্যুর ভুয়ো খবর রটে যায় বুধবার মধ্যরাতে। পরে তার স্ত্রী জানান, এখনও লড়াই চালাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। এরপর গতকাল (শুক্রবার) তার শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু শনিবার সব লড়াইয়ে ইতি টেনে না ফেরার দেশে চলে এই অভিনেতা।
বিক্রম গোখলে একদিকে ছিলেন অভিনেতা, অন্যদিকে ছিলেন পরিচালক। পুণেতে একটি অ্যাক্টিং অ্যাকাডেমি রয়েছে তার। ভবিষ্যত প্রজন্মকে অভিনয়ের তালিম দিয়েছেন বছরের পর বছর।
বিক্রম গোখলের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৪ নভেম্বর। তার বাবা চন্দ্রকান্ত গোখলে মারাঠি থিয়েটার এবং সিনেমার উল্লেখযোগ্য নাম ছিলেন। শুধু তাই নয়, তার দাদী কমলাবাই গোখলে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম নারী শিশুশিল্পী ছিলেন। পূর্বপুরুষদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে ১৯৭১ সালে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় বিক্রম গোখলের পদার্পণ। প্রথম ছবি ছিল 'পরওয়ানা'।
হিন্দির পাশাপাশি মরাঠি চলচ্চিত্রেরও উল্লেখযোগ্য নাম বিক্রম গোখলে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে নিজ অভিনয় দক্ষতায় দর্শক মনে ছাপ ফেলেছেন তিনি। অমিতাভ বচ্চনের ‘অগ্নিপথ’ থেকে সালমান-ঐশ্বর্যর ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ নিজ অভিনয় গুণে রুপোলি পর্দায় উজ্জ্বল বিক্রম গোখলে। হালফিলে ‘মিশন মঙ্গল’, ‘হিচকি’, ‘আইয়ারি’, ‘ব্যাং ব্যাং’-এর মতো ছবিতে দর্শক দেখেছে তাকে।
দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ছোটপর্দাতেও কাজ করেছেন তিনি। সঞ্জীবনী, বিরুদ্ধ, জীবন সাথী, সিংহাসনের মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন বিক্রম গোখলে। মারাঠি ছবি ‘অনুমতি’র জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন অভিনেতা। শেষবার তাকে পর্দায় দেখা যায় মারাঠি ছবি ‘গোদাবরী’তে। অন্যদিকে শিল্পা শেঠী-অভিমন্যু দাসানির ‘নিকম্মা’ বিক্রম গোখলে অভিনীত শেষ হিন্দি ছবি।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।