উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি: হিরো আলম
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:৪৯
হবিগঞ্জের শিক্ষক এম মখলিছুর রহমানের দেওয়া উপহারের গাড়ি বুঝে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ওই গাড়ির বিপরীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পাওনা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
গাড়িটি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি।’
আরও পড়ুন>>> 'সঙ্গী হিসেবে চান' সরাসরি শাহরুখকে প্রস্তাব দিলেন তরুণী!
হস্তান্তরের আগে গাড়ির ফিটনেস না থাকা ও ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি এম মখলিছুর রহমান জানাননি বলে দাবি করেছেন হিরো আলম। গাড়ি হস্তান্তরের সময় ভিড়ের কারণে কাগজপত্র দেখার সুযোগও পাননি তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে সেই গাড়ি ফেরত দেবেন কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘কাগজপত্র নিয়ে যত জটিলতাই হোক, উপহারের গাড়ি ফেরত দিব না। এটা করলে ওই শিক্ষককে অপমান ও ছোট করা হবে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে গরিব মানুষের সেবায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি, এখন গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে, তা খরচ করতে রাজি আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া মওকুফ চেয়ে বিআরটিএতে আবেদন করব। দু-এক দিনের মধ্যে কোনোরকমে গাড়িটি বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ শুরু করব। এর মাধ্যমে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।’
জানা গেছে, এম মখলিছুর রহমান যে গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার দিয়েছেন, সেটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ৫১-৪১০১ ও সিসি ১৮০০। সবশেষ ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ। একই বছরের ১৫ জুলাই গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। তাই বর্তমানে গাড়িটির ১০ বছরের বকেয়া হিসাবে সরকারি ফি দিতে হবে অন্তত চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এর বাইরে আরও খরচ রয়েছে।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পাঁচ বছর ওই গাড়ি ব্যবহার করেছেন বলে স্বীকার করেছেন এম মখলিছুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গাড়িটি পাঁচ বছর ধরে কাগজ ছাড়াই চালিয়েছি। হিরো আলমও কাগজপত্র দেখে এবং সবকিছু জেনেই নিয়েছে। আর অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করলে তো ওই গাড়ির কোনো কাগজের প্রয়োজন নেই। কারণ, দেশে এভাবে হাজার হাজার গাড়ি চলছে।’
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।