প্রখ্যাত হলিউড পরিচালক জেমস ক্যামেরন ক্ষোভে-দুঃখে আমেরিকা ছাড়ছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়া মেনে নিতে পারছেন না টাইটানিক ছবির পরিচালক।
জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেছেন তিনি। তাই ক্ষোভে-দুঃখে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন বলেন, ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রে যা কিছু শালীন তার থেকে বিপরীতগামী হয়ে গেছে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার নির্বাচন নিয়ে তিনি কী রকম আতঙ্কে ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা ভয়ংকর। আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি, যা কিছু শালীন তার উল্টোদিকে মোড় ঘুরছে।
ঐতিহাসিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র যুগ যুগ ধরে যে আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তার পক্ষে না থাকাটাও মার্কিন নাগরিকরা মেনে নিতে পারেন না। এটা পুরোটাই ফাঁপা একটি নীতি।আমি মনে করি, ওরা যত দ্রুত সম্ভব ওদের লাভের জন্য দেশটাকেও ফাঁকা করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্প সম্পর্কে তার মন্তব্য, প্রতিদিন খবরের কাগজের প্রথম পাতায় আমি ট্রাম্পের মুখ দেখতে চাই না। এটা বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছে, কুৎসিত ব্যাপার। নিউজিল্যান্ডে এ রকমটা হয় না।খারাপ খবর ওরা অন্তত তৃতীয় পাতায় স্থান দেয়।
আমি শুধু ওই লোকটার মুখ রোজ খবরের কাগজের প্রথম পাতায় দেখতে চাই না। এটাই অনিবার্য হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রে। যেন মনে হচ্ছে চোখের সামনে সব সময় একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে, এমন কিছু দেখে চলেছি।
কানাডায় জন্ম নেয়া এই নির্মাতা নিউজিল্যান্ডকে নিজের জন্মভূমির মতোই মনে করেন। তিনি বলেন, কানাডায় বড় হওয়ায় আমি এখানে অনেক মিল খুঁজে পাই। এখানে মানুষের প্রতি পারস্পরিক সম্মান আছে, যা আমি আমার সন্তানদের শেখাতে চেয়েছি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।