ভুয়া আইনজীবী অথচ জিতেছেন ২৬ মামলা

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:১২

ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্টের আইনজীবী সেজে যুক্তিতর্কে লড়ে জিতেছেন ২৬টি মামলা। কিন্তু আদালতে নিবন্ধিত কোনো আইনজীবীই নন তিনি। দীর্ঘদিন এভাবে প্রতারণা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কেনিয়া কর্তৃপক্ষ।

নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেয়া ব্রায়ান মুয়েন্ডা নামের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিজেকে কেনিয়া বারের সদস্য হিসেবে দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ তাকে ভুয়া আইনজীবী হিসেবেই শনাক্ত করেছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ভুয়া আইনজীবী হাইকোর্টে ইতোমধ্যে ২৬টি মামলা জিতেছেন!

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) কেনিয়ার ল সোসাইটি (এলএসকে) নিশ্চিত করে, ২০২২ সালের আগস্টে মুয়েন্ডা, ব্রায়ান মুয়েন্ডা নামের আরেকজন সত্যিকারের আইনজীবীর পরিচয় ব্যবহার করে নিজেকে বারের সদস্য হিসেবে নিবন্ধিত করতে সক্ষম হন। এলএসকে সব সদস্য এবং জনসাধারণকে অবহিত করতে চায় যে, ব্রায়ান মুয়েন্ডা কেনিয়া হাইকোর্টের কোনো অ্যাডভোকেট নন। তিনি ল সোসাইটি অব কেনিয়ার কোনো শাখারও সদস্য নন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটঠফর্ম এক্সে এলএসকে বলেছে, র‌্যাপিড অ্যাকশন টিমের মাধ্যমে এলএসকে নাইরোবি শাখার নজরে আনা হয়েছে যে, ছবির ব্যক্তিটি নিজেকে কেনিয়া হাইকোর্টের একজন অ্যাডভোকেট এবং এলএসকে নাইরোবি শাখার সদস্য হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন ও পরিচালনা করছিলেন।

পোস্টে আরও বলা হয়, নাইরোবি শাখা এলএসকের সব সদস্য ও জনগণকে বিষয়টি জানাতে চায় যে ব্রায়ান মুয়েন্ডা হাইকোর্টের আইনজীবী নন, এমনকি ল সোসাইটিরও সদস্য নন। কেউ এ ধরনের ভুয়া আইনজীবীর তথ্য পেলে জানাতে অনুরোধ করা যাচ্ছে, যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এক ব্যক্তি নিজেকে মুয়েন্ডা বলে দাবি করে শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্ট করে ব্যাখ্যা করেছেন যে তিনি আইনজীবীদের একটি ওয়েবসাইট হ্যাক করে নিজের ছবি যুক্ত করেছেন যাতে এটি মনে হয় যে তিনি একজন সত্যিকার আইনজীবী।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটঠফর্ম তিনি আরও লেখেন, আমি যে মামলাগুলো জিতেছি তা বহাল রাখা উচিত, কে কার প্রতিনিধিত্ব করছে আইন তার উপর নির্ভর করে না। আমি জোরালো যুক্তি পেশ করেছি, প্রমাণ পেশ করেছি এবং যৌক্তিক যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আদালতের উচিত আইন সম্পর্কে আমার জ্ঞান পরীক্ষা করা এবং আমাকে বারে ভর্তি করা।

আইন স্কুলে না গিয়ে ২৬টি মামলায় জয়ী হওয়া আমাকে একজন জিনিয়াসে পরিণত করেছে। কেনিয়ার অনেক পেশাদার আইনজীবী রয়েছে যারা আইনের আদালতে কখনও কোনও মামলা জিতেনি বা যারা কাঠগড়ায় দাঁড়াতে পারে না এবং একটি মামলাও বাঁচাতে পারে না।

এ ঘটনার পর কেনিয়ার সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন ব্রায়ানকে প্রথাগত যোগ্যতা ছাড়াই দীপ্তিমান তরুণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়াও কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির বিতর্কিত প্রাক্তন গভর্নর মাইক সনকোও তার প্রশংসা করেছেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top