• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


বাংলাদেশ থেকেও টিকা তুলে নিতে বলেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৪, ১৫:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারী চলাকালীন ভ্যাকসিনই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেই ভ্যাকসিনেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর এ অভিযোগ ওঠার পর থেকে সারা বিশ্ব থেকে নিজেদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের  টিকা তুলে নিচ্ছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বাংলাদেশ থেকেও টিকে তুলে বলেছে কোম্পানিটি।

তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন, তারা জরিপ চালিয়ে দেখছেন বাংলাদেশের কারও শরীরে এ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না। আজ বুধবার (৮মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন ৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এইটা (অ্যাস্টাজেনেকার টিকা তুলে নেওয়ার বিষয়) আমরা শুনেছি। তবে, আমাদের দেশে এ রকম কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট আমরা এখন পর্যন্ত পাই নাই। আমি এটা জানার পরে ইতোমধ্যেই ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দিয়েছি এবং তারা এটা জরিপ করছে। মানে যাদেরকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের ওপর জরিপ করে আমাকে রিপোর্ট দেবে।’

দেশে প্রচুর মানুষকে আ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে সরকারের ভাবনা জানতে চাইলে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না জানব আমাদের দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন। ওরা (আ্যাট্রাজেনেকা) বলছে টিকা তুলে নিতে, কিন্তু আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত কীভাবে বলব?’

বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গুতে আমার মাকে হারিয়েছি। এটা নিয়ে আমার আবেগ আছে। আমি চাই না ডেঙ্গুর কারণে আর কারও মা হারাক। তবে ডেঙ্গু নিয়ে একটা কথা বলি, এটা এমন একটা রোগ এটা নিয়ন্ত্রণে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় না, দুইটা মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যদি ডেঙ্গুর উৎস বন্ধ না করতে পারি, তাহলে যতই হাসপাতাল বানাই কিন্তু এটা বন্ধ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি আমাদের হাসপাতালের যে সক্ষমতা রয়েছে...আমাদের ডাক্তাররা ডেঙ্গু চিকিৎসায় অত্যন্ত দক্ষ। আমি একটা অনুরোধ করব জ্বর হলে সবাই যেন সরকারি ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়। দেরি করলেই মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া এবার স্যালাইনের সংকটও হবে না। আমি ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে মিটিং করেছি, তারা দামও বাড়াবে না।’

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top