ডায়বেটিস রোগীর ২৪ ঘন্টার করণীয়

সুন্দর জীবনের জন্যে সুস্থ জীবনাচারের বিকল্প নেই

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৪, ১৮:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

রোগ নিরাময়ের জন্যে সুস্থ জীবনাচার খুব জরুরি। কারণ ভুল জীবনযাপনে ঘটে বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত। জীবন- অভ্যাস পরিবর্তনই হতে পারে এর প্রকৃত সমাধান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, একজন মানুষ শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকভাবে সুস্থ থাকলে, তিনি পুরো সুস্থ। এবার ভাবুনতো আপনি কতটুকু সুস্থ। হেলথ কর্ণারে আজকের আলোচনার বিষয় ডায়বেটিস।

এটি একটি মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। যা শুধু ঔষধ সেবনের মাধ্যমে পুরো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। জীবন সুস্থ ও আলোকিত করতে চাইলে এটি অর্জনের উপায়ও জানতে হবে। শুধু পার্থিব সম্পদ মানুষকে শারীরিক সুস্থতা এনে দিতে পারে না। সুখী হতে হলে শরীর ও আত্মাকেও সুস্থ রাখতে হবে। শারীরিক সুস্থতার জন্যে সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।

ডায়বেটিস রোগীর ২৪ ঘন্টার করণীয়ঃ

রাতের খাবারঃ ৭.৩০-৮.৩০ এর মধ্যে রাতের খাবার শেষ করতে হবে। লাল গমের আটা+ যবের (ছাতু) আটা মিশ্রিত রুটি ০২ টি, আলু ছাড়া সবজি, অথবা কাউনের ভাত আলু ছাড়া সবজি দিয়ে- যা লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ। রাত ৮ টার পরে ভারী খাবার খাবেন না।

ঘুমঃ ১০-১১ টার মধ্যে ঘুমাতে হবে। এতে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। 

সকালঃ সকালে সূর্য উঠার পরে আর ঘুমানো যাবে না। সূর্য উদয়ের পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করতে হবে, কুসুম গরম পানি পান করুন ০১ কাপ। সম্ভব হলে পুরো শরীরে খাটি সরিষার তেল মালিশ অথবা অলিভ ওয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। এর ৩০ মি. পরে গোসল করে নিন। যা পরবর্তীতে ঘুম ঘুম ভাব কমাতে সহায়তা করবে।

সকালে ক্ষুধা না লাগা পযর্ন্ত খাবার খাওয়া যাবে না। ক্ষুধা লেগে গেলে অন্তত দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। বুঝার চেষ্টা করুন ক্ষুধা প্রকৃত নাকি ফলস্। সকালের নাশতায় খেতে পারেন গম+ যব মিশ্রিত রুটি ০২ টি, ডিম, সবজি, কয়েকটি বাদাম।

বেলা ১১.০০ টায়, যে কোন টক জাতীয় ফল খান। টক ফল ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। 

দুপুরে লাল চালের ভাত ০২ কাপ, মাছ/দেশি মুরগী, মুগডাল, কাঁচা সালাদ, লেবু/কাঁচা মরিচ খান। দুপুরে খাবারের পরে না ঘুমানো ভালো।

বিকেলে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। হালকা স্নেকস: ফলের রস, খই, কলা খেতে পারেন।

ভালো থাকা মানে সব দিক থেকেই ভালো থাকা। সব দিকে থেকে ভালো থাকার জন্যে দরকার সব দিক থেকে ফিট থাকা, উপযুক্ত থাকা। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিকভাবে ভালো থাকা গেলে বলা যায় সার্বিকভাবে ভালো আছি। তাই এই চার ক্ষেত্রেই ফিটনেস দরকার। দরকার টোটাল ফিটনেস। নতুনধারার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, সুন্দর জীবনের জন্যে সুস্থ জীবনাচারের বিকল্প নেই।

ডা. মো. সাইফুজ্জামান
বি ইউ এম এস ( হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়)
কনসালট্যান্ট ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top