নারায়ণগঞ্জে এক বছরে ২৬ পোশাক কারখানা বন্ধ, সংকটে শ্রমিক
আতাউর রহমান | প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০২৫, ১২:০৭

নারায়ণগঞ্জের পোশাক শিল্পে বেড়েছে অস্থিরতা। গত এক বছরে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ২৬টি পোশাক কারখানা। এতে চাকরি হারিয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ জন শ্রমিক। তবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের হিসাবে এই সংখ্যা কিছুটা কম—তাদের হিসেবে গত এক বছরে ৯টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, গ্যাস সংকট, উৎপাদন ঘাটতি ও আর্থিক চাপকে এ বন্ধের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়া লোকসানে রয়েছে আরও ৪০টি কারখানা।
প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ৮৩৪টি গার্মেন্টস কারখানা চালু আছে। এখানে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর থেকে একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ায় বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা।
বন্ধ হওয়া কারখানার মধ্যে রয়েছে টোটাল ফ্যাশন, নিট গার্ডেন, একে ফ্যাশন লিমিটেড, লা মেইজন কচুর, মোল্লা নিট ফ্যাশনসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান। অনেক শ্রমিক গ্রামে ফিরে গেছেন, তবে বেশিরভাগই এখন শহরে রিকশা বা অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, এসব কারখানা দীর্ঘদিন ভর্তুকি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু অর্ডার কমে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক চাপ সামলাতে না পেরে অবশেষে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিকেএমইএ নেতাদের মতে, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা এখন জরুরি। স্থিতিশীল পরিবেশ, কম সুদে ব্যাংক ঋণ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে আবার চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে নারায়ণগঞ্জের পোশাক শিল্প।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।