অ্যাস্ট্রোলজি
যাদের হাতের রেখায় দোষ দেখলে এড়িয়ে চলবেন
নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১, ০০:৫৭

হাতের রেখার মধ্যে ব্যক্তির ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান লুকিয়ে থাকে। এক এল জাতকের হাতের রেখাও এক এক রকম হলেও এর মধ্যে কিছু রেখার আকার ও গঠন শুভ। আবার কিছু কিছু রেখার মধ্যে থাকে দোষ। যেসব জাতকের হাতে রেখায় দোষ থাকে তাদের থেকে সাবধানে থাকা উচিত। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই দোষ গুলো কোন ধরনের -
জীবন রেখার দোষ
যে রেখা বৃহস্পতি পর্বত বা তর্জনী আঙুলের নীচ থেকে একটি গভীর রেখা বেরিয়ে শুক্র পর্বত অর্থাৎ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের নীচের অংশকে ঘিরে ধরে মণিবন্ধ রেখার ওপরের অংশে সমাপ্ত হয় সেই রেখাই জীবন রেখা। হস্তরেখা শাস্ত্র মতে জাতকের হাতের জীবন রেখা সোজা হলে এমন জাতকের ওপর বিশ্বাস করবেন না। জ্যোতিষ মতে, যাঁদের হাতের জীবন রেখা একদম সোজা, তাঁদের কাছে নিজের কোনও রহস্যই প্রকাশ করা উচিত নয়। তা না-হলে সমস্যা, বিবাদ ও ঝগড়ার মুখোমুখি হতে পারেন।
ভাগ্য রেখার দোষ
কব্জি থেকে শুরু হয়ে যে রেখা মধ্যমা আঙুলের নীচে অবস্থিত শনি পর্বত পর্যন্ত পৌঁছয়, তাঁকে ভাগ্য রেখা বলা হয়। এ ছাড়া হাতের অন্যান্য স্থান থেকেও ভাগ্য রেখা শুরু হতে পারে, তবে এর সমাপ্তি সব সময় শনি পর্বতে গিয়েই হয়। মণিবন্ধ, শুক্র পর্বত, জীবন রেখা, চন্দ্র পর্বত, হৃদয় রেখা থেকে ভাগ্য রেখা শুরু হতে পারে। হস্তরেখা শাস্ত্রের মতে, কোনও জাতকের হাতের ভাগ্য রেখা সাধারণের তুলনায় বেশি মোটা হলে একে এক ধরনের রেখা দোষ হিসেবে গণ্য করা হয়। শাস্ত্র মতে, যে জাতকের হাতের ভাগ্য রেখা দোষপূর্ণ, তাঁরা লোভী প্রকৃতির হন।
শুক্র ক্ষেত্রের দোষ
বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের নীচের অথবা জীবন রেখার ভিতরের অংশ শুক্র পর্বত হিসেবে বিবেচ্য। হস্তরেখা শাস্ত্র মতে কোনও জাতকের হাতের শুক্র পর্বতের গঠন ভালো হলে, কিন্তু বেশি বড় না-হলে, তখন তা ভালোবাসা ও সঙ্গীর ইচ্ছা ও সৌন্দর্যকে নানান রূপে সম্মান জানানোর ইচ্ছা রাখে। এর পাশাপাশি আবেগপ্রবণ ও সৃজনশীল প্রবৃত্তির দিকে ইঙ্গিত করে। কিন্তু কোনও জাতকের হাতের শুক্র পর্বত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি উঠে থাকলে তা শুক্র পর্বতের দোষ হিসেবে বিবেচিত হয়। শাস্ত্র মতে এমন রেখা দোষ ব্যক্তিকে চরিত্রহীন করে তোলে। এমন জাতকের মধ্যে কাম লালসা প্রচুর পরিমাণে থাকে। এঁরা নিজের এই স্বভাবের জন্য সমস্ত সীমানা ও মর্যাদা অতিক্রম করে যান। তাই এমন জাতকের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।
মস্তিষ্ক রেখা দোষ
হৃদয় রেখা নীচ থেকে, অর্থাৎ প্রায় বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের নীচ থেকে হৃদয় রেখা শুরু হয়। হস্তরেখা শাস্ত্রের মতে মস্তিষ্ক রেখাই জাতককে বুদ্ধিমান অথবা মূর্খ করে। কোনও জাতকের মস্তিষ্ক রেখা স্পষ্ট হলে, তা মস্তিষ্ক রেখা দোষ হিসেবে বিবেচিত হয়। হস্তরেখা শাস্ত্র অনুযায়ী এমন জাতক শেয়ানা ও প্রতারক হন। তাই এমন ব্যক্তির থেকে সাবধানে থাকাই ভালো।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।