পা ফাটা রোগের কারণ ও প্রতিকার
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৫৩

পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া একটি বিব্রতকর সমস্যা। শুষ্ক মৌসুম ও আর্দ্রতার ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়। পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা হতে থাকে। দীর্ঘদিন পা ফাটা থাকলে ইনফেকশন হতে পারে, পায়ে ব্যথা অনুভূত হয়, পা ফুলে যায় এবং দৈনন্দিন চলাফেরা ব্যাহত হয়।
পা ফাটা রোগের কারণ:
- খালি পায়ে হাঁটা
- দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করা
- শক্ত জুতা পরিধান করা
- ধুলাবালিতে কাজ করা
- ক্ষেতখামারে কাজ করা
- পরিমিত পানি পান না করা
- অতিরিক্ত পা ঘামানো
- ভিটামিন এ, সি এবং ই এর অভাব
প্রতিকার করবেন যেভাবে:
পা ফাটা রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে ত্বক নরম ও মসৃণ রাখা। সেজন্য যা করা যেতে পারে-
১. খালি পায়ে চলা ফেরা না করা
২. আরামদায়ক নরম জুতা পরা
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা
৪. নারিকেল তেল মালিশ করা
৫. নিয়মিত ভ্যাসলিন ব্যবহার করা
৬. ঝামা পাথর বা পিউমিস পাথর দিয়ে পা ঘষে পায়ের মরা চামড়া তুলে নেওয়া, এবং পরবর্তীতে নারিকেল তেল মালিশ করা।
৭. শীত পড়া শুরু হলেই মোজা পরার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এতে ঠান্ডা, ধুলাবালি, দূষণ থেকে মুক্ত থাকবে পা।
৮. আধা বালতি কুসুম গরম পানিতে ১ চিমটি লবণ দিয়ে সেখানে পা আধা ঘন্টা ডুবিয়ে রাখলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। যাদের পা ফাটা সমস্যা রয়েছে শুধু তারাই নন, পা ভালো রাখতে যে কেউই এটা করতে পারেন।
৯. সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ পায়ের ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে। গ্লিসারিন ত্বক নরম রাখে। অন্যদিকে গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই। আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান।
এছাড়া প্রচুর পানি পান করুন। পানি/পানি জাতীয় খাবার কম খেলে ত্বকের শুষ্কতা ও পা ফাটার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। আগে থেকে সতর্ক থাকলে পা ফাটার সমস্যাগুলোর অধিকাংশই এড়ানো সম্ভব।
এনএফ৭১/এমএ/২০২১
বিষয়: পা ফাটার প্রতিকার
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।