বলাৎকারকে ধর্ষণ গণ্য করে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এ জাতীয় অপরাধকে ধর্ষণের মতোই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি মাদরাসাগুলোতে শিক্ষকের মাধ্যমে ছেলে শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে, এসব ঘটনার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে আলিয়া মাদরাসা এবং কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মহিলা শিক্ষক নিয়োগ করে বিশেষত শিশুদেরকে মহিলা শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা নিতে নোটিশে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, শিক্ষা সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের মাদরাসাগুলোতে শিক্ষকের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ছাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, দেশে দুই ধরনের মাদরাসা শিক্ষা পদ্ধতি, যেমন আলিয়া মাদরাসা এবং কওমি মাদরাসার সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। মাদরাসাগুলোতে প্রায় কোটির কাছাকাছি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীরা পুরুষ শিক্ষকদের অধীনে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদরাসাগুলোতে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কারণে এসব কোমলমতি ছাত্ররা ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এসব যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ফলে অনেক ছাত্র মৃত্যুর মুখেও ঢলে পড়ছে। সম্প্রতি এসব ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার প্রচলিত আইনে পুরুষের সঙ্গে পুরুষের জোরপূর্বক যৌনসঙ্গমকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। ফলে এ ধরনের যৌনসঙ্গমের শাস্তি অনেক কম থাকায় মাদরাসার শিক্ষকরা এ সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে।’
এনএফ৭১/আরআর/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।