বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

এসি-ওসি স্যারের নির্দেশে আবু সাঈদকে গুলি করা হয়

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৬

সংগৃহীত

রংপুর কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন এসি মো. আরিফুজ্জামান ও তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের নির্দেশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল—এমন তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন এসআই (সশস্ত্র) মো. আশরাফুল ইসলাম।

বুধবার (১২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-২-এর ত্রিমুখী বিচারিক প্যানেলের সামনে ৩০ আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিনি ১৪ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। সাক্ষ্যগ্রহণের নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। অন্যান্য সদস্য ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এসআই আশরাফুল জানান, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই সকাল ৮টায় তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে কর্মরত অবস্থায় ১৪ জন ফোর্স নিয়ে বেরোবির সামনে পার্কের মোড়ে দায়িত্বে ছিলেন। দুপুরে লালবাগ থেকে আসা ছাত্র-জনতার মিছিল সামলাতে গিয়ে এসি আরিফুজ্জামান, এডিসি শাহ নুর আলম ও তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের হুইসেল, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড এবং গ্যাসগান ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তারা। পরে ছাত্র-জনতার ওপর শটগান ফায়ার করা হয়, যার ফলে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। তিনি পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এসআই আশরাফুলকে জেরা করেন পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী এবং উপস্থিত ছয়জনের আইনজীবী। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর)।

এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। গত ২৭ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গঠন করা হয়, তবে ২৪ জন পলাতক রয়েছেন।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top