২৪ জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ বহু মুক্তিযোদ্ধা কারাগারে

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

চব্বিশের জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও মুক্তিযোদ্ধারা কারাগারে রয়েছেন। এসব মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ অন্যান্য আদালতে বিচার চলছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ আন্দোলনে মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।

বিশেষভাবে জানা গেছে, ২০২৪ সালের আগস্টের পর অন্তত ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই. ইলাহি বীর বিক্রম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, সাবেক এমপি আহমেদ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রমুখ।

মামলার প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশেষ করে মেনন ও ইনু ১৪ জুলাই সভার পর শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন পরামর্শ দেন, যা পরবর্তীতে কার্যকর হয়।”

বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, সহিংসতা, হামলা ও অসন্তোষ ছড়ানোর চেষ্টা করার অভিযোগ আছে। ড. আসাদুজ্জামান নূর, রাশেদ খান মেনন, গোলাম দস্তগীর গাজী, শামসুল হক টুকু, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, আব্দুস শহীদ, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু প্রমুখকে ঢাকা, কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

তবে কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, একই সঙ্গে শতাধিক নাম উল্লেখ করে দায়ের করা মামলা কতটা গ্রহণযোগ্য। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর রাজনৈতিক কারণে পুলিশ নিজ উদ্যোগে কোনও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেনি। তবে কিছু মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা শক্ত করা হয়েছে।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top