ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান, সংবাদমাধ্যমে হামলায় জড়িত সন্দেহে ৯ গ্রেপ্তার

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা, মো. শফিকুল ইসলাম

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের।

শেরপুর জেলার রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। তিনি নিজের আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেছেন।

ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার মো. নাইম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা সহ গ্রেপ্তার হন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছেন। লুট করা টাকায় মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনা হয়েছিল, যা উদ্ধার করা হয়েছে।

কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সাম্প্রতিক ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।