ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি হত্যার মামলায় তিন আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:২০
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে আদালত তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। এছাড়া হাদি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার ফয়সালকেও তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম পৃথক দুই আবেদনের শুনানির পর রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের দুই দফা রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জানান, ফয়সালের দেখানো স্থানে নরসিংদী সদর থানাধীন তরুয়া এলাকার তরুয়ার বিলে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্র ও গুলি হাদি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে। তদন্তে অস্ত্রের উৎস, সরবরাহকারী, হত্যার মোটিভ, ইন্ধনদাতা ও পলাতক আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হবে।
সীমান্তে পারাপারকারী চক্রের হোতা জনৈক ফিলিপের অবস্থান শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও তার সঙ্গে কিলিং মিশনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখার জন্য সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তবে আসামিদের পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ১২ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদিকে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা গুলি করে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তিন দিন পর, ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলার এজাহারে ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে ফয়সালের পরিবার, সহযোগী ও পলাতক আসামিরা।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।