ইফতারে ফল খাবেন কেন?

রাশেদ রাসেল | প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৫

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাস চলছে। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রয়োজন হয় শক্তি জাতীয় খাবারের।

কিন্তু, রোজা রেখে সারাদিন পর ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়াটাই অভ্যাস অনেকের। সারাদিন পেট খালি থাকার পর এসব খাবার পেটের জন্য অস্বস্তিদায়ক আবার শরীর খারাপের কারণ হয়েও দাড়ায়। ইফতারে তাই এমন কিছু খাওয়া ভালো যা পেটের জন্য আরামদায়ক, আবার পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এসব কিছু বিবেচনায় বলা যায় ইফতারে নানা রকম ফল খাওয়া বেশ নিরাপদ।

এতে শরীরে পুষ্টির চাহিদা যেমন মেটানো সম্ভব তেমনি অতিরিক্ত তেল, ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত থাকাও সম্ভব। জেনে নিন কেন ইফতারে ফল খাওয়া ভালো-

শরীরের পানিশূণ্যতা দূর করতে

সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। কেননা সারাদিন শরীর ভীষণভাবে পানিশূণ্য হয়ে পড়ে। অনেকেই একসঙ্গে অনেক পানি পান করতে পারেন না।

তাদের জন্য ভালো সমাধান বিভিন্ন ফল খাওয়া। কেননা অধিকাংশ ফলই পানির ভালো উৎস। পানিশূণ্যতা দূর করতে ফলের জুড়ি নেই। এছাড়া ফল যেহেতু ফাইবারের ভালো উৎস তাই রোজার সময় কোষ্ঠকাঠিণ্যের সমস্যাকেও বিদায় জানাতে সক্ষম।

এক্ষেত্রে তরমুজ, কমলা, শসা, নাশপাতি ইত্যাদি ফলে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে।

পেটের স্বস্তির জন্য

সাহরির পর থেকে ইফতার পর্যন্ত দীর্ঘ একটা সময় পুরোপুরি উপোস থাকার কারণে পেটে অ্যাসিড ক্ষরণ বেড়ে যায়। তাই ইফতারে যদি ভাজাপোড়া বেশি খাওয়া হয় তাহলে অ্যসিডিটির সমস্যা বেড়ে যায়। বলা হয়ে থাকে ইফতারে খালি পেটে পানি পান করে আস্তে আস্তে অন্য খাবার গ্রহণ করা ভালো। সম্ভব হলে হালকা কিছু খেয়ে মাঝে খানিকটা বিরতি নিয়ে পুনরায় খাওয়ার অভ্যাস গড়তে পারলে শরীরের জন্য উপকারী।

এসব কিছু বিবেচনায় রেখে ইফতারে শরীর ও পেটকে স্বস্তি দিতে তাই নানা রকম ফল খেতে পারেন।

পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে

প্রচলিত একটা কথা রয়েছে- প্রতিদিন একটা আপেল খেলে নাকি সুস্থ থাকা যায় সারাবছর। রোজার সময় ইফতারেও এ অভ্যাস অব্যহত রাখতে পারেন। কেননা আপেলে রয়েছে পেকটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। কেবল আপেলই নয় এমন অনেক ফলই রয়েছে যা পুষ্টি ঘাটতি দূর করতে একাই একশ।

ওজনের লাগাম ধরতে চাইলে

অনেকেই ওজন কমানোর জন্য রোজার মাসটাকে যুতসই ভাবেন। যারা এ সময়টাকে বেছে নিচ্ছেন ওজন কমানোর জন্য তারা ইফতারে প্লেট পূর্ণ করুন নানা ফলে। ভাজাপোড়া খাবার অনেক বেশি ক্যালরি জমা করবে শরীরে। যা ওজন কমানোর বিপক্ষে কাজ করবে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top