পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি বাংলাদেশে কোনও ইস্যু নয়
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জয়ের নিজস্ব ব্যাপার: প্রধানমন্ত্রী
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:২৯
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে সরকার নানা ডিজিটাল উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেখুন, সে এখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তাই এটা তার ব্যাপার। কিন্তু সে দেশের জন্য কাজ করছে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ, এত সব স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবল কিংবা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মতো এতসব ডিজিটাল ব্যবস্থা তার পরামর্শেই নেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন, সে আমাকে সহযোগিতা করছে। তবে কখনও দল কিংবা সরকারে কোনও পদ পাওয়ার কথা ভাবেনি।
দলীয় এক অনুষ্ঠানে জয়কে দলের পদ দেওয়ার জন্য কর্মীদের জোরালো দাবির কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমনকি আমাদের দলীয় সম্মেলনে পর্যন্ত তার জন্য জোরালো দাবি উঠেছিল। তখন আমি তাকে বললাম, মাইক্রোফোনের কাছে গিয়ে বলো, তুমি কী চাও। সে তা-ই করলো।
জয় বললো, এই মুহূর্তে আমি দলে কোনও পদ চাই না। বরং যারা এখানে কাজ করছেন তাদের এই পদ পাওয়া উচিত। কেন আমি একটা পদ দখল করে রাখবো? আমি আমার মায়ের সঙ্গে আছি। দেশের জন্য কাজ করছি। তাকে সহযোগিতা করছি। এটা আমি করে যাবো। সে এভাবেই চিন্তা করে। ফলে এমন নয় যে আমাকেই তাকে তৈরি করতে হবে কিংবা এটা আমাকেই করতে হবে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের কী কর্মীদের চাওয়ার প্রতি সায় দেওয়া উচিত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা জনগণের ওপর নির্ভর করছে। আর পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি বাংলাদেশে কোনও ইস্যু নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই স্পষ্ট। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বিদ্বেষ নয়- এটি আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ভাষণেও বলেছিলেন। আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করি। এবং আমার মত হলো আমাদের জনগণের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। কীভাবে তাদের একটি উন্নত জীবন দেওয়া যায়? কীভাবে তাদের জীবনমান উন্নত করা যায়? আর আমি সবসময় বলে এসেছি যে, আমাদের একটাই শত্রু। তা হলো দারিদ্র্য। তাই আসুন সকলে মিলে কাজ করি।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। ভারতকে বাংলাদেশের ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।