বিএনপি কখনো চায়নি দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক
বাংলাদেশ যাতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রস্তুত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৭:১০
সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবার মাঝে একটা উদ্বেগ, ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ-খাদ্যমন্দা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যেন এটা না হয়। আমাদের খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। এই যুদ্ধ তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে বলে মনে হয় না। যুদ্ধ বন্ধ করেন, আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই আবেদনটাই জানিয়েছি।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, সামনে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অনেকেই খাদ্য সংকটে পড়বে। আমাদের যাতে সেরকম পরিস্থিতি না হয়। হয়তো অনেক দেশে আমাদেরই খাদ্য সহায়তা পাঠাতে হবে। সেদিক চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০০টা শিল্পাঞ্চল করে দিয়েছি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। কৃষি জমিটা যেন নষ্ট না হয়। কৃষিপণ্য বা খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করতে পারি এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে। অঞ্চলভিত্তিক কৃষিপণ্য সংরক্ষণের কথা ভাবছি। যে অঞ্চলে যে ফসলটা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হচ্ছে, সেভাবেই সংরক্ষণাগার গড়ে তুলতে হবে। শিল্পাঞ্চলে আলাদা প্লট নিয়ে আলাদা সংরক্ষণাগার করা যাবে। এর ফান্ড আমি দেবো।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই বলতো বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশ থেকে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। খালেদা জিয়াও বলেছিল। তারা মনে করতো, স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে তো ভিক্ষা পাওয়া যাবে না। তবে আমি মনে করি, ভিক্ষা করে না, আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। নিজের মাটিতে উৎপাদন করে, আত্মনির্ভর হয়ে চলবো। নিজেদের মর্যাদা নিয়ে আমরা চলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও স্যাংকশনের কারণে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের অনেক কিছু বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। তবে অনেক দেশের সঙ্গে পণ্য আনার চুক্তি করেছি। পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে, পরিবহন খরচও বেড়েছে। তবু কৃষকের ভর্তুকি আমরা দিয়ে যাচ্ছি।
জনগণকে করোনার টিকা নেওয়ার উৎসাহ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী শীত মৌসুম এলে আবার যাতে করোনার প্রাদুর্ভাব না হয়। সবাই টিকাটা নিয়ে নেবেন। শিশুদেরও আমরা টিকা দিচ্ছি। সবাইকে আবারও বলছি।
দেশের ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আজ। কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় অবদান রাখায় ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দেওয়া হলো।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।