শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত রেকর্ড ৭৬৫

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১৬

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত রেকর্ড ৭৬৫

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ছেই। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ। এসময় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬৫ জন। এ নিয়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগী সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ৬৯৫ জনে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৭৬৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ২৬৮ জন। নতুন ৪৮২ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৯৫ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৩ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০ হাজার ৫০৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবছর ২১ জুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ এ সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনো ঘাটতি রয়েছে। যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তাদের এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ব্যাপক অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে লিফলেট, মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে ওঠার পেছনে বৃষ্টির পাশাপাশি সরকারি অব্যবস্থাপনাও দায়ী।

চলতি মাসে বেশ কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল, ফলে সেসব জায়গা পরিষ্কার ছিল না। এতে করে এডিস মশার প্রজনন বেড়েছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সে ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই মুহূর্তে একটি ‘ক্লাশ প্রোগ্রাম’ দরকার। যেখানে একসঙ্গে সারা দেশে মশার প্রজননকেন্দ্রগুলো ধ্বংস করবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top